অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগ চাইলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগকে নিয়ে সাখাওয়াত হোসেনের এক মন্তব্যের জবাবে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন এই অভিনেত্রী।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান তিনি।
যেখানে ‘পদত্যাগ চাই’ শিরোনামে চমক লেখেন, আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুটি মন্তব্য- ১ম মন্তব্য: ‘আওয়ামী লীগকে বলবো, আপনারা দল গোছনোর কাজ শুরু করুন। তবে কোনো বিশৃঙ্খলা করবেন না’। ২য় মন্তব্য- ‘এতো তাড়াতাড়ি মানুষ সবকিছু ভুলবে না। কিছুদিন অপেক্ষা করুন, সব ভুলে যাবে’।
দুইটি মন্তব্য তুলে ধরে অভিনেত্রী লেখেন, কি ভয়ংকর কথা! ভাবা যায়! এতো রক্তের উপর দাঁড়িয়ে উনি আওয়ামী লীগকে বলছেন, অপেক্ষা করেন, মানুষ ভুলে যাবে। উনি আমাদেরকে কি ভোলাতে চাচ্ছেন?
এরপর সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে চমক লেখেন, এই মুহুর্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাখাওয়াতকে হঠান। সে নিজেই প্রতিবিপ্লবী।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত আনসার সদস্যদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়ে আওয়ামী লীগকে দল পুনর্গঠনের কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা আপনাদের পার্টি রিঅর্গানাইজ করেন। এই পার্টির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না।’
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘লোক জড়ো করেন আর যাই করেন এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাদের জীবন বিপন্ন হয়। এ দেশের পাবলিক এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আমি বরং মনে করি আপনারা আপনাদের পার্টি রিঅর্গানাইজ করেন। এই পার্টির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। পার্টিকে রিঅর্গানাইজ করেন, পলিটিক্যাল পার্টির মতো যেভাবে থাকে। ইলেকশন এলে ইলেকশন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই স্বপ্নটা যদি আপনারা দেখেন তাহলে কী করবেন আপনারা এই দেশটা আরেকজনের হাতে তুলে দেবেন না।’
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এদেশের লোক এত তাড়াতাড়ি ভুলে নাই। সময় দেন হয়তো ভুলে যাবে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি ভোলে নাই। কারণ যাকে নেতা ধরছিলেন সেই নেতারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যাকে ধরছে তাকে আমরা বাঁচাতে পারছি না। অনেক নেতাকে অনেকে বাঁচিয়েছে। আমরা জানি কে কোথায় আছে। কিন্তু ওটা না করে আপনারা বরং পার্টিকে, এটা অনেক বড় পার্টি। অ্যান্ড আই হ্যাভ লট অব রেসপেক্ট ফর আওয়ামী লীগ। এক সময় আমাদের মতো বাঙালিদের তাদের ভরসার জায়গা ছিল এই পার্টি। বাংলাদেশে ’৫২-এর আন্দোলন, ’৬৯-এর গণআন্দোলন, স্বাধীনতা- এটা পারসোনাল কোনো কারণে নষ্ট করবেন না। এটা জাতীয় সম্পদ।’
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর