
সেনাবাহিনীর তৎপরতায় টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বিএনপি, জামায়াত, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী এবং স্কাউট সদস্যরা। সহিংসতারোধে সেনাবাহিনী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। সংখ্যালঘুদের আস্থায় আনা হয়েছে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একদল দুষ্কৃতকারী কয়েক স্থানে হামলা চালিয়ে বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুট করে। দুষ্কৃতকারীরা দৈনিক যুগান্তরের গোপালপুর প্রতিনিধি মো. সেলিম হোসেনের বাড়িতে দুই দফা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুট করে।
ঘটনার পর পরই পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। তাদেরকে সহযোগিতায় করেন উপজেলা বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ। সংখ্যালঘুদের আস্থায় আনার জন্য বিএনপি গত ৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় কালীমন্দিরের নাটঘরে সংখ্যালঘু নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে তাদের ধর্মীয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর রক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া হয়। গত সোমবার জামায়াতে ইসলামীর টাঙ্গাইল জেলা সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে কোনাবাড়ী কালী মন্দির প্রাঙ্গণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে এক বৈঠকে সকল প্রকার নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দুস্কৃতকারিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে কয়েকস্থানে মাইকিং করা হয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, সম্পাদক কাজী লিয়াকত, উপজেলা যুবদলের সভাপতি খালিদ হাসান উথান, সম্পাদক সাইফুল ইসলাম লেলিনসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিভিন্নস্থানে সভাসমাবেশ করেন। গোপালপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সমরেন্দ্রনাথ সরকার বিমল জানান, সেনাবাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসন, বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। সংখ্যালঘুদের মধ্যে ইতিমধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। এদিকে ষষ্ঠ দিনের মতো গোপালপুর উপজেলা রোবারস্কাউটরা পৌরশহরের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা শহর পরিস্কারপরিচ্ছনতা রাখা এবং নানা স্লোগান সম্বলিত নান্দনিক দেয়াল লিখন অব্যাহত রেখেছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর