দেশের ক্রিয়াশীল ৩৪টি ছাত্র সংগঠন ১৫ই আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গণমাধ্যম পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সংহত করতে আগামী একমাস ক্যাম্পাসগুলোতে কোনো ছাত্র সংগঠন আলাদা করে কোনো কর্মসূচি দেবে না। আন্দোলনের ব্যানারে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
এ সময় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ১৫ই আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপস্থিত সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি এসব সিদ্ধান্তের সঙ্গে লিখিতভাবে একমত পোষণ করেন।
এতে আরও বলা হয়, ১৫ই আগস্টকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকে রূপান্তর করা হয়েছে। এই দিনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা ও অভ্যুত্থান সংহত করতে ১৫ই আগস্টকে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করাটা সমীচীন নয়। নেতৃবৃন্দ জুলাই-আগস্টকে বাংলাদেশের জনগণের শোক, সংহতি ও প্রতিরোধের মাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে দেশের সকল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের নি এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রসমাজকে জানানো হয় নি। ওই বৈঠকে ১৫ আগস্ট পালন না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তারা সবাই মিলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে পারবে। এমন সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
এতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সভায় অংশ নেন। এছাড়া উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (রাগিব নাঈম), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল), বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (ইউপিডিএফ), বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (জেএসএস), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বিপ্লবী ছাত্রসংহতি, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া), বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিশ, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজি জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র সমাজ, বাংলাদেশ ছাত্র মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ ছাত্রমিশন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল এবং জুম লিটারেচার সোসাইটি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর