
৫ ই আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন একের পর এক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭:৩৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন বাড্ডা থানায় আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী খোরশেদ আলম রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। রাসু গোপালগঞ্জে সদর থানার মানিকদার গ্রামের মুনসুর শেখের ছেলে। এর আগে আজ দুপুরটায় ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালত রাসুর জামিন আবেদন মঞ্জুর করে।গত বছরের ২৯শে সেপ্টেম্বর থেকে রাসু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিল।
জানা গেছে, মগবাজারের টিএনটি কলোনিতে বেড়ে ওঠা খোরশেদ আলম রাসু ফ্রিডম পার্টির সদস্য ছিলেন। আশির দশকের শেষের দিকে ফ্রিডম পার্টির কর্নেল ফারুকের নেতৃত্বে দুর্দান্ত প্রতাপশালী ছিল এই রাসু বাহিনী। ১৯৮৮ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে ফ্রিডম পার্টির মানিক ও রাসুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে রাজধানীর ধানমন্ডি ও কলাবাগান মগবাজার রামপুরা মালিবাগ ও রমনা এলাকা ফ্রিডম রাসুর নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে বিজয়নগরে এক রাজনৈতিক নেতার অফিসে ফ্রিডম রাসু, মানিক, সোহেল জিসান ও মিরপুরের কেরামতের নেতৃত্বে ফাইভ স্টার বাহিনী গঠিত হয়। ২০০৩ সালের ১৫ মে রাতে মালিবাগের সানরাইজ হোটেলে ডিবির ইন্সপেক্টর নুরুল আলম সিকদার ও এস আই আলমগীর হোসেনকে হত্যা করে আলোচনায় আসে এই রাসু।
এর আগে আজ সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর