বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগের দাবি তুলেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সরকার পতনের ১২ দিনে পদত্যাগের মেলাও বসেছে সরকারি দপ্তরগুলোতে। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি সম্বলিত একটি ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়।
সরকার পতনের পরে গুঞ্জন সিইসিসহ সব নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করছেন।তবে সিইসি দপ্তর ও অন্য কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় মানসিকভাবে প্রস্তুত আছেন সবাই।
এ বিষয়ে সিইসি’র দপ্তর সূত্রে জানা যায়,পদত্যাগ নিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত আছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ(সিইসি) অন্য সব কমিশনারা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাচন কমিশনার বলেন,আমাদের পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।আমরা সিইসি স্যারের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।ওনি উপর মহলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি)স্যার যে নির্দেশনা দেবেন আমরা সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো। এছাড়া আমাদের চিন্তা বা পরিকল্পনা হলো ছাত্রদের হাতে অপমান হওয়ার আগেই আমরা পদত্যাগ করে চলে যাবো।
এদিকে গুঞ্জন উঠছে কমিশনার ঠিক মতো অফিস করছেন না এ বিষয়ে জানতে সরজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায়,নিরাপত্তা না থাকায় কোনো কোনো কমিশনাররা অফিস করছেন। তবে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর পর দেখা যায় সকল কমিশনাররা অফিসে আসছেন কিন্তু দুই-একজন ব্যতীত অন্যরা অফিস সময় শেষ হওয়ার আগে কর্মক্ষেত্রে ত্যাগ করছেন।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি। সাংবিধানিক এই সংস্থায় পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছে তারা।
অন্য কমিশনাররা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব আনিছুর রহমান।
এই কমিশনের অধীনে এই বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। তবে সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর