
কুড়িগ্রামর ভূরুঙ্গামারীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে শিক্ষার্থীরা লিখছেন বিজয়ের গ্রাফিতি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরে দেয়াল গুলোতে এখন শিক্ষার্থীদের রং-তুলির আঁচড় পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের কাঁচা হাতের লেখা আর আলপনাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতার স্মৃতি ও বিজয়ের চিহ্ন ভেসে উঠেছে শহরের অলিগলির দেয়াল গুলোতে। 'পানি লাগবে পানি’, ‘স্বাধীন করেছি, সংস্কারও করবো’, ‘আমিই বাংলাদেশ’, ‘আপনি কখনো মনে করবেন না যে, জালিমরা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ উদাসীন’, তোর কোটা তুই ফেরত নে, আমার ভাইকে ফেরত দে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা ৩৬ শে জুলাই"। এসব অসংখ্য লিখনী ও চিত্রাঙ্কনে ভরে গেছে গোটা ভূরুঙ্গামারী। প্রতিটি দেয়াল এখন রং তুলির রঙে রঙিন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট ) দুপুরে উপজেলার পরিষদের দেয়াল, সরকার কলেজ, মহিলা কলেজ, সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহিলা মাদ্রাসা ও সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিজয় উল্লাসের বিভিন্ন গ্রাফিতি আঁকছেন শিক্ষার্থীরা। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন রকমের রঙ আর তুলি দিয়ে দিনভর এসব দেয়ালে আঁকছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সারা দেশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে ভূরুঙ্গামারীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়ির দেয়ালে রং-তুলির আঁচড়ে দেয়াল সাজাতে শুরু করেছেন তারা। বিভিন্ন বয়সি শিক্ষার্থীরা দেয়াল অঙ্কনে অংশ নিচ্ছে । একইসঙ্গে ছাত্র-জনতার বিজয়ের বিভিন্ন প্রতীকী ছবিও আঁকা হয়েছে।
জুলাই মাস তো ৩১ দিনে। তাহলে দেয়ালে ৩৬ শে জুলাই লেখা কেন এমন প্রশ্নের জবাবে শাহিন, সজীব, মিথিলা, শিহাব ও নাবিলা জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ন্যায্য দাবী না মেনে সরকার নিরহ শিক্ষার্থীদের উপর গণহত্যা চালায়। ৩১ শে জুলাই ১ দিনেই শতাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। সেই দিন সিদ্ধান্ত হয়। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জুলাই মাস চলবে। অবশেষে ৩৬ জুলাই মানে ৫ আগস্ট স্বৈরশাসকের পতন হয়।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর