কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দীন রহমানী। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে তিন ঘণ্টার জন্য মুক্তি দেওয়া হয়।

প্যারোলে মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত চিঠি সূত্রে জানা গেছে, বরগুনায় অবস্থিত তার(জমিস উদ্দীন রহমানীর) বড় বোন মমতাজ বেগম(৬৫) ১৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বড় বোনের মৃত্যুর ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ১৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। বোনকে এক নজর দেখতে ও জানা যায় নামাজে অংশ গ্রহণ করার জন্য তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার সার্কিট হাউজ মাঠে জসিম উদ্দীন রহমানীর  প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জসিম উদ্দীন রহমানী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তা হেলিকপ্টার যোগে বরগুনার সার্কিট হাউকে অবতরণ করেন। এসময় সেখানে তার স্বজন ও অনুসারীরা তার বড় বোনের জানাজা নামের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সার্কিট হাউজ মাঠে নেমে প্রথমে তিনি ওজু করেন এরপর পরিবারের স্বজনদের সাথে কথা বলেন। এসময় চারপাশ থেকে তার অনুসারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা স্থানটিকে ঘিরে রাখেন। এরপর তার বড় বোনের জানাজা নামাজ তিনি নিজে পড়ান। জানাজা নামাজ শেষে পুনরায় হেলিকপ্টারে করে কাশিপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানাজা নামাজের পূর্বে জসিম উদ্দীন রহমানী দাবি করেন, শেখ হাসিনা সরকার তাকে মিথ্যে মামলায় জেলে রেখেছেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামও শুনিনি আমার গ্রেফতারের আগে। এই সংগঠনের প্রধান হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জসিম উদ্দীন রহমানী তার বড় বোনকে শেষ বারের মতো দেখতে ও জানাজা নামাজে অংশ নিতে এসেছিলেন। ঢাকা থেকে পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তিনি হেলিকপ্টার যোগে বরগুনা আসেন। জানাজা নামাজ শেষে পুনরায় পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শাকিল/সাএ