
ঢাকার কেরানীগঞ্জে জনসাধারণের চলাচলের ব্রিজ দখল করে ফলের দোকান স্থাপন করায় ভোগান্তিতে পড়েছে ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারী অর্ধ লক্ষাধিক লোকজন। পাশাপাশি ফলের দোকানের উচ্ছিষ্ট ও ময়লা আবর্জনা ব্রিজের উপর থেকেই খালের মধ্যে ফেলে দেওয়ায় খালের মুখ ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর সব দোকান থেকে এলাকার পাতি মাস্তান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদা তোলার কারণে দোকানদাররা নিজেদের বৈধ মনে করে উলটো পথচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা শুভাঢ্যা খালের উপর পাশাপাশি দুটি ব্রিজ রয়েছে। এই স্থানটি গুদারাঘাট জোড়া ব্রিজ নামে পরিচিত। একটি ব্রিজের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করে অপর ব্রিজের উপর দিয়ে জনসাধারণ হেঁটে চলাচল করে। ৫ ফুট চওড়া এই পায়ে হাঁটার ব্রিজের অন্তত ৩ ফুট দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ১৫ টি মৌসুমি ফলের দোকান। ব্রিজের উপর থেকে নিচে তাকাতেই দেখা গেছে যায় ফলের দোকানের উচ্ছিষ্ট ও ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচলকারী পথচারী আনোয়ার হোসেন বলেন, গুদারঘাট পোশাক পল্লির কয়েক হাজার কর্মচারীসহ আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে। প্রতিদিন দুপুরে খাবারের বিরতির সময় ব্রিজের উপর চলাচলের জন্য মানবজট তৈরি হয়। ব্রিজ দখল মুক্ত করতে গেলে দোকানদার উলটো আমাদের হুমকি দেয়। আমরা টাকা দিয়ে এখানে দোকান করি,যারা টাকা নেয় তাদের সাথে কথা বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রিজের উপরের এক দোকানি বলেন,আমরা গরিব মানুষ ফুটপাতে দোকানদারি করে খাই তবে ফ্রি না। প্রতিদিন মসজিদ কমিটির নির্ধারিত লোক, এলাকার বেশ কিছু পাতি মাস্তান ও পরিষ্কারের জন্য ঝাড়ুদারদের নির্দিষ্ট হারে টাকা দিয়ে এখানে ব্যবসা করছি।
মসজিদের টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে কমিটির লোকজন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রিয়াদ জানান, জনগণের চলাচলের জন্য ব্রিজ স্থাপন করা হয়েছে। এটা দখল করে দোকানপাট তৈরির কোন সুযোগ নেই। যত দ্রুত সম্ভব দখলদারদের উচ্ছেদ করে ব্রিজ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর