আমতলী উপজেলার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাঠ বাজারে শতাধিক ব্যবসায়ী এ অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,বরগুনা আমতলী উপজেলার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড লঞ্চঘাট সংলগ্ন কাঠ বাজার দীর্ঘ দের যুগ ধরে ব্যবসা করে আসছেন শতাধিক কাঠ ব্যবসায়ী।
২০০৩ সালে সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান ব্যবসায়ীদের কাঠ বাজারের জন্য এই জমিটি ব্যবসায়ীদের দেয়া হয়।তখন জোয়ার ভাটার পানি চলাচল করত। তারপর বালু ভরাট করে কোনোরকম কাঠ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এরপর মো. মতিয়ার রহমান মেয়র হওয়ার পর ইট দিয়ে সলিং করে কাঠবাজার চলাচলের জন্য রাস্তা এবং পাবলিক টয়লেট ও মালালাম ওঠানামার জন্য একটি আধুনিক ঘাট নির্মাণ করে বাজার সম্প্রসারণ করে শতাধিক কাঠ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা হয়।
আমতলী পৌরসভার একমাত্র কাঠ বাজার। এখানে প্রায় শতাধিক কাঠ ব্যবসায়ী ১০০ দীর্ঘ ২১বছর যাবত ব্যবসা করে আসছিল হঠাৎ করে একটি প্রভাবশালী মহল গত ৭/৮/২৪ তারিখে এই কাঠ বাজারের একটি অংশের জমির মালিক দাবি করে জালাল মুসুল্লি(৫৫)পিতা অজ্ঞাত, মনির মৃধা( ৫০)পিতা সিকান্দার মৃধা,জাহাঙ্গীর মৃধা (৬০)পিতা মৃত পবন মৃধা,মামুন মৃধা(৪২)পিতা খালেক মৃধা,শহিদুল( ৩২) পিতা মৃত বুরজুক মৃধা,স্বপন মৃধা পিতা আব্দুল হাই মৃধাসহ শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি প্রদান করেন।
এমনটি অভিযোগ করে কাঠ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ বাহাদুর মিয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত এখানে ব্যবসা করে আসছি কিছু কুচক্রী মহল সরকার পতনের ফলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইতেছে এবং আমাদের এই বাজার দখল করতে চাইতেছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী কাঠ ব্যবসায়ী মোতাহার খা বলেন, আমরা এ বাজারে শুরু থেকে ব্যবসা করে আসছি এখন আমাদেরকে উচ্ছেদ করবে কেন আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর মৃধা জমির মালিক অংশীদার দাবি করে বলেন, এটা আমাদের রেকর্ডীয় জমি এতদিন জোড় করে দখল করে ছিল।
জমির কোন কাগজ আছে কি না জানতে চাইলে বলেন,এ বিষয় মনির মৃধা ভালো জানেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, আমি দু পক্ষকে ডাকবো, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর