জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রদর্শনী বিতর্কে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্ক শেষে স্পীকারের পক্ষে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিপক্ষে ‘না’ ভোট চাওয়া হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের উচ্চ আওয়াজের ‘হ্যাঁ’ ভোট দেয়াড় মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধে মত দেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া পুরো বিতর্কে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষের সরকারি দলের বক্তব্য চলাকালীন শিক্ষার্থীরা উচ্চ আওয়াজে করতালি দিয়ে সমর্থন জানান।
বিতর্ক শেষে বিচারক রাসেল অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে সকল শিক্ষার্থীদের নতুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জকসুকে সক্রিয় করার পরামর্শ দেন।
টানটান উত্তেজনায় শেষ হওয়া প্রদর্শনী বিতর্কের মোশন ছিল, ‘এই সংসদ মনে করে ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।’ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগের ধারাবাহিতায় ক্যাস্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে সোচ্চার হয়ে উঠে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সকলের জন্য উন্মুক্ত রেখে এই বিতর্কের এই মোশনটি উন্মুক্ত রাখা হয়।
উক্ত প্রদর্শনী বিতর্কে সরকারি দলে বিতর্ক করেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, মাঈন আল মুবাশ্বির ও মেহেদী হাসান। অপরদিকে বিরোধীদলে বিতর্ক করেন ইনামুল হক ইহাদ, কিশোর আনজুম সাম্য ও নাঈমা আক্তার রিতা
উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি দলে বিতর্ক করেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, মাঈন আল মুবাশ্বির, মেহেদী হাসান। অপরদিকে বিরোধীদলে বিতর্ক করেন ইনামুল হক ইহাদ, কিশোর আনজুম সাম্য, নাঈমা আক্তার রিতা।
এসময় সরকারি দল বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিস্থিতি বিনষ্ট করা, হলে সিট বাণিজ্য, ক্যাম্পাসে আশেপাশে চাঁদাবাজি, পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট ইত্যাদি কারণে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে যাতে রাজনীতিবিদ উঠে আসে, সেইজন্য ছাত্রসংসদ চালু করতে হবে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান যেমন, রোভার স্কাউট, বিতর্ক সংসদ, বিএনসিসি, রেঞ্জার, রোভার সহ যাবতীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ভিতরে সাধারণ শিক্ষার্থী হয়েই আসতে হবে।
বিপক্ষ দল দাবি করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতিকে কোনোভাবে অস্বীকার করা যায় না। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্র সংগঠন সমূহের ভূমিকা ছিল। তাই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা মানে এসব ছাত্র সংগঠনের অবদানকে অস্বীকার করার শামিল।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর