সাভারের আশুলিয়ায় গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারীদের উপর হামলায় এক পোশাক শ্রমিক হত্যার ঘটনায় নিহত পোশাক শ্রমিক সাকিনুর রহমানের (৩২) স্ত্রী মোছা: শারমিন বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় ১৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ আজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত সাকিনুর রহমান গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়েনের মো. ডালিমের ছেলে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে সাভার উপজেলার আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
মামলার আসীদের মধ্যে রয়েছেন, পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান (৬১), মঞ্জু দেওয়ান (৫৮), মোয়াজ্জেম হোসেন (৫০), মোতালেব ব্যাপারী (৫৫), শাহাবুদ্দিন মাদবর (৫৮), আব্দুল লতিফ মন্ডল (৫৭), এনামুল হক মুন্সি (৫০), মতিউর রহমান মতি (৫২), সাদেক ভূইয়া (৫৭), কবির সরকারসহ (৪০) আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের ১৫৮ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট দুপুর ২ টার দিকে পোশাক শ্রমিক সাকিনুর রহমান বলিভদ্র বাজারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। ওইদিন বেলা পৌনে ৩ টার দিকে শারমিন খবর পান সাকিনুর রহমান বাইপাইল মোড় এলাকায় গুরুতর আহত অবস্থায় পরে আছেন। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারেন আহতদের গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে সাকিনুরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তিনি।
লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে শারমিন জানতে পারেন বাইপাইল মোড়ে আন্দোলন চলাকালে আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ওই এলাকায় উপস্থিত অন্যান্যদের মতো সাকিনুর দৌড়ে পালানোর সময় আসামিদের কাছে ধরা পরেন। এসময় সাকিনুরকে পিটিয়ে এবং গুলি করে আহত করা হয়। পরে আহত সাকিনুরকে হাসপাতালে নেয়া পথে মৃত্যু হয় তাঁর।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ বলেন, নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে গতকাল ১৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ আজ্ঞাতনামাদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর