
রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের কুড়াপাড়া গ্রামের এম আলী আহসান শরীরের বিভিন্ন স্থানে এখন ৯ গুলি নিয়ে ঘুরছে। চিকিৎসার জন্য ছুটছে বিভিন্ন প্রান্তে। শরীরে বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ গুলি বের করা হলেও বর্তমানে আরো ৯ টি স্থানে রয়ে গেছে। পারিবারিক ভাবে কিছুটা অসচ্ছল হওয়ায় চিকিৎসা সেবা নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তায়।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কথা হলো এম আলী আহসানের সাথে তিনি তার সেদিনের কথা বলেন -গুলি লাগে উত্তরার রাজলক্ষ্মী ওভার ব্রিজের সামনে থেকে ১৩ টা গুলি লাগে। সময় তখন দুপুর ১:৩০ মিনিট, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করি। অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য কুয়েত বাংলাদেশ সরকারি হাসপাতালে আসি।
সেখানে লাশ আর আহত মানুষের খুব চাপ থাকায় সিরিয়াল দিয়ে লাশের সাথে শুয়ে থাকতে হয়। পড়ে সন্ধ্যা ৬: ৫০ মিনিটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর পর ২৪/০৭/২০২৪ তারিখে শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ইন্টার্নি ডাক্তার ভাতিজা আব্দুল আলিম এর পরামর্শ নিয়ে মানিকগঞ্জে ”মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল এর ডাক্তার মো. আরিফুর রহমানের থেকে চিকিৎসা নিয়ে ঐ দিনই আবার ঢাকায় ফিরে আসি। সর্বশেষ স্বাধীন বাংলাদেশের পর আবারও ৯/৮/২০২৪ তারিখে মানিকগঞ্জে ”কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে ১৪/৮/২০২৪ পর্যন্ত ভর্তি থেকে চিকিৎসা করায়। তারা সিটি স্ক্যান, এক্স- রে, আরো অনেক পরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছে, এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় খুব গতিতে গুলি লাগায় গুলি হারের জয়েন্টের মধ্যে আটকে থাকায় তারা বের না করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেন। এখনো ৯ টা গুলি ভিতরে আছে, আমি খুব দ্রুত সময়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করাবো।
এম আলী আহসান শিক্ষা জীবন শেষ করে চাকুরির জন্য ঢাকায় অবস্থান করেন শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের শুরু থেকেই তাকে রাজপথে দেখা যায়, পাংশার ছেলে এম আলী আহসান শিক্ষা জীবন থেকেই সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত প্রতিবাদী এই এম আলী আহসানের এখন সু চিকিৎসার খুব বেশী প্রয়োজন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর