ফরিদপুরের সালথায় জুমার নামাজের খুতবায় আ'লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় মুজাহিদুল হক নামের এক ইমামকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে।
উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরাটিয়া গ্রামের মধ্যপাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। ইমামের চাকরিচ্যুতের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ভুক্তভোগী ইমাম হাফেজ মাওলানা মুজাহিদুল হক তার চাকরিচ্যুতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মুরাটিয়া গ্রামের মুসল্লিরা জানান, মধ্যপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের ছেলে স্বপন মাতুব্বর। আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে হওয়ায় তাকে মসজিদের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
তারা আরও জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর গত ৯ আগস্ট (শুক্রবার) জুমার নামাজের খুতবায় মসজিদের ইমাম মুজাহিদুল হক আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন নিয়ে কথা বলেন। এ সময় সভাপতির সমর্থকরা খুতবায় বাধা দেন। পরে নামাজ শেষে ইমামকে মসজিদ থেকে বের করে দেন সভাপতি।
ইমাম হাফেজ মাওলানা মুজাহিদুল হক বলেন, মুরাটিয়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদে গত ৮ মাস ধরে ইমামতি করছি। গত ৯ আগস্ট জুমার নামাজের খুতবায় জালিমের জুলুম-নির্যাতনের পরিণাম কী হয়, তা নিয়ে কথা বলি।
তিনি বলেন, সেই সঙ্গে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হামলার বিষয়টি তুলে ধরি। এ সময় কালাম নামের এক মুসল্লি বাধা দেন। পরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আমি বয়ান বন্ধ করে দেই। একপর্যায় নামাজ শেষে সভাপতি আমাকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। পরে আমি চলে আসছি।
এ বিষয়ে মুরাটিয়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি স্বপন মাতুব্বরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে স্বপনের বাবা মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বর বলেন, ইমাম সাহেব ধর্মীয় বয়ান বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলছিলেন। পরে ছেলেরা ঝামেলা বাধালে তিনি চলে যান। আমরা তাকে চাকরিচ্যুত করিনি। তিনি একাই চলে গেছেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর