
নেত্রকোনায় আবারো টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। অতি বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নারী-পুরুষ কার্যত গৃহবন্দী হয়ে পড়ায় অফিস, আদালতে উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগণ্য। আর শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল একেবারেই ফাঁকা। আর কর্ম চঞ্চল শহরে ছিল না অন্যান্য দিনের ন্যায় কোন যানজট ও কর্মব্যস্ততা।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সীমান্তবর্ত্তী কলমাকান্দা, হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরি, মদন, মোহনগঞ্জ ও বারহাট্রা উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শত শত একর আমনের বীজতলা নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ কৃষকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। নিমজ্জিত পানি দ্রুত নেমে না গেলে বীজতলা বিনষ্টের আশঙ্কা করছেন। এ দিকে জেলার সীমান্তের পাহাড়ি নদী সোমেশ্রী, গণেশ্বরী, মঙ্গেলশ্বরী, মহাদেও, বৈঠাখালী, কংশ, ধন নদ ও জেলা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত মগড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার কাছাকাছি চলে আসায় আবারো বন্যার হাতছানি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তের কলমাকান্দাম মদন ও খালিয়াজুরি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক গ্রামের নারী-পুরুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
গত কয়েক দিনের বর্ষণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া শ্রমজীজী সাধারণ মানুষ। শহরের অধিকাংশ দোকান পাট খোলা থাকলেও ক্রেতা সাধারণের অনুপস্থিতির কারণে বিক্রেতাগন অলস সময় পার করেন। তবে নেহাত প্রয়োজনের কারণে মুদি ও ঔষধের দোকানে কিছু লোকজনের দেখা পাওয়া যায়।
নেত্রকোণা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বীজতলা তলিয়ে গেলেও আশঙ্কার কোন কারণ নেই। কেননা একদিনের মধ্যেই দ্রুত এই পানি নেমে যাবার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর