উচ্চ আদালতের নির্দেশে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) কে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি। যাদের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ঈগল। যার নিবন্ধন নাম্বার ৫০।
বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়। এবি পার্টি নিবন্ধন পাওয়ায় ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৫ টি।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে The Representation of the People Order, 1972 Chapter VIA এর বিধান অনুযায়ী আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)-কে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধন করিয়াছে। উক্ত দলের জন্য "ঈগল" প্রতীক সংরক্ষণ করা হইয়াছে এবং উহার নিবন্ধন নং-০৫০।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, যিনি দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক। ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট দলটির আহ্বায়কের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই রুল জারি করেন। একই বছরের ২৪ জুলাই দলটির নিবন্ধনের আবেদন খারিজ করতে নির্বাচন কমিশন একটি চিঠি দেয়। সে চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে দলটির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী।
আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানান, নির্বাচন কমিশন ২৪ জুলাই চিঠি দিয়ে জানায় ১০৪টি উপজেলার দেওয়া তথ্যের মধ্যে ২৫টি সঠিক। বাকি ৭৯টির শর্ত পালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। কিন্তু কোন কোন উপজেলার শর্ত পালনের তথ্য ঠিক নেই, তা উল্লেখ করা হয়নি। আমাদের বক্তব্য হলো ১০৪টি উপজেলার সঠিক তথ্য দিয়েছি। এরপরও নিবন্ধন দেয়নি ইসি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে যে কোনো দলকে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ জেলা কার্যালয় ও কমপক্ষে ১০০টি উপজেলা কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হয়, যার প্রত্যেকটি কমিটিতে অন্তত ২০০ ভোটার সদস্য থাকতে হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে ২০২৩ সালে নতুন দলের নিবন্ধন নিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। সে সময় নিবন্ধন পেতে আবেদন করে এবি-পার্টি। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে গেলেও চূড়ান্ত বাছাইয়ে তথ্যে সঠিকতা না থাকার অভিযোগে তালিকা থেকে বাদ পড়ে।
এরপর ওই বছর ৮ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে রিভিউ আবেদন করে দলটি। ওইদিন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, এবি পার্টির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার বাস্তব অস্তিত্ব নেই। আমাদের সকল পর্যায়ে কমিটি আছে। সব শর্ত পূরণ করেছি। তবে এসব যাচাই করতে যেয়ে ইসি কর্মকর্তারা আমাদের অফিস ভাড়ার কাগজের পরিবর্তে বাড়ির মালিকানার কাগজ দেখেছে। কাজেই অতিউৎসাহী কর্মকর্তাদের কারণে এমন হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সাবেক নেতা (মজলিশে শুরার সদস্য) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এফএম সোলায়মান চৌধুরী এবি পার্টির আহ্বায়ক। এছাড়া ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু দলটির সদস্য সচিব।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর