নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন “আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)” প্রকল্পের জনবলদের রাজস্ব খাতে চাকরি স্থায়ী করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২১ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. রাজীব আহসান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়।
ইসি চিঠিতে জানায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন "আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)" শীর্ষক প্রকল্পে আউটসোর্সিং ভিত্তিতে কর্মরত ২ হাজার ২৩১ জন জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের লক্ষ্যে প্রকল্প কার্যালয় হতে সূত্রোক্ত পত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত একটি স্মারকলিপি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অগ্রহায়ণ করা হলো।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে অবস্থান করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেসের (আইডিইএ)-২ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইসির সামনের সড়কে অবস্থান নেয়।
উল্লেখ্য, এনআইডি অনুবিভাগ ইসি থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন নেওয়ার জন্য স্বতন্ত্র একটি আইন প্রণয়ন করে সরকার। তবে সেখানে বলা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কার্যক্রম না নেবে ততদিন পর্যন্ত তা ইসির অধীনেই থাকবে। সরকার আইনটি করার সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ ও সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা এনআইডি ইসির অধীনে রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, যেহেতু ভোটার তালিকার ভিত্তিতে এনআইডি সরবরাহ করা হয়, সেহেতু ইসির অধীনে এই কার্যক্রম থাকাই নিরাপদ।
এছাড়া ইসির এই কার্যক্রমের জন্য রয়েছে দেড় যুগের দক্ষতা, অবকাঠামো। নতুন করে অন্য কোনো দপ্তরের অধীন নিলে নতুন করে লোকবল, অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এতে রাষ্ট্রের ব্যয় ও নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়বে। অন্যদিকে এনআইডি কর্মরতদের অনেকের চাকরিজীবন কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে গেছে। তাই তাদের প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে না নেওয়াটা অমানবিক মনে করছেন অনেকে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর