
ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বরগুনায় তিনটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসনটি ছিল। এই তিনটি সংসদীয় আসন বহাল ছিল ২০০১ সাল পর্যন্ত। ২০০৮ সালে তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে আমতলী-তালতলী সংসদীয় আসন বাতিল করে। সেদিন কেন বরগুনায় ২ টি আসন করা হয়েছে এটি এখনো প্রশ্নবিদ্ধ।
পরে আসনটি বরগুনার বরগুনা-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। তবে আসনটি বিলুপ্তির ক্ষেত্রে সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ গঠন ১৯৭৬-এর ৬-এর (২) ধারা অনুযায়ী প্রশাসনিক কাঠামো, আয়তন ও বাস্তবিক অবস্থা বিবেচনা করা হয়নি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী গেজেটে এই আসনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
পূর্বের ৩টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে বরগুনা জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিক সমাজের সোচ্চার। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনেও পাথরঘাটা-বামনা, বেতাগী-বরগুনা এবং আমতলী-তালতলী ৩টি সংসদীয় আসন নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমতলী-তালতলীর সেই সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে বরগুনার নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন,
৩টি আসনে যে অর্থ বরাদ্দ পেতাম ২টি আসন হওয়ায় সেই বরাদ্দ পাচ্ছি না। আমরা বৈষম্যের শিকার। তিনি বরগুনার তিনটি সংসদীয় আসন ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান।
বরগুনার একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বর্তমান সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুস মহোদয়ের নিকট আমতলী-তালতলী সংসদীয় আসনটি পুনর্বহালের দাবী জানাই।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর