
তুমুল বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নিচু এলাকা। এতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে ভারী বর্ষণের কারণে পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর অধিকাংশ এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, বাদুড়তলা, চকবাজার, বাকলিয়া, রাহাত্তারপুল, ডিসি রোড়, আগ্রাবাদের সড়ক যানচলাচল একেবারে সীমিত, সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি। এসব এলাকার অনেক বাসাবাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে গেছে।
চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা আবু তৈয়ব বলেন, চকবাজারে মেডিকেল যাওয়ার কথা ছিল। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি হাঁটু পানি। মেইন রোডে কোমরসমান পানি। কালকেও এমন ছিল।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। বৃষ্টিপাত আরও অন্তত ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত পাহাড়ধসের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আবদুল বারেক বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। আজ দুপুরের পর বৃষ্টি একেবারে কমে যেতে পারে। পরে আবার থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু সন্ধ্যার পর আবার বৃষ্টি বাড়তে পারে।
এদিকে, গত দুই দিন ধরে জেলার সীতাকুণ্ড, মীরসরাই এবং ফটিকছড়িতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এ তিন উপজেলায় কমপক্ষে এক লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর