বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা, সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাস সহ ২৮ জন নেতা কর্মীকে আসামি করে বান্দরবান সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ওয়ার্ড বিএনপি'র নেতা শামীম হোসেন ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা দুটি দায়ের করেছেন। 

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, মামলা নথিভুক্ত করে তা আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে জ্বালা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন দলীয় উচ্চপর্যায়ের নির্দেশই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হল ১। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাশ (৫০) ২। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা মার্মা (৫০) ৩। জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুৰ (৪৮) ৪। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ (৫০) ৫ । পৌর কাউন্সিলর সৌরভ দাশ শেখ (৪৮) ৬। যুবলীগ নেতা চৌধুরী প্রকাশ বড়য়া (৪৫), ৭। রাজু বড়য়া (৩৮) ৮। ফারুক আহমেদ ফাহিম (৩৫) ৯। পৌর কাউন্সিলর উমর ফরুক (৪০) ১০। যুবলীগ নেতা মো. হাকিম, ১১। আবু তৈয়ৰ চৌধুরী (৩০) ১২। মোহাম্মদ আরিফ(২৫), ১৩।। মো. তারেকুল ইসলাম, ১৪। জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন তংঞ্চঙ্গ্যা (৫০) ১৫। ছাত্রলীগ নেতা ৱাশেদ চৌধুরী (৪০), ১৬৷ পৌর কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাশ (৪৫) ১৭। আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন (৪৫) ১৮। যুবলীগ নেতা আকাশ চৌধুরী (২৬) ১৯। ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন (২২) ২০। যুবলীগ নেতা উমর ফারুক (৩৫) ২১। শ্রমিকলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম (৪৫), ২২। যুবলীগ নেতা আলমগীর ড্রাইভার (৩০) ২৩। নূর মোহাম্মদ কালু (৪৫), ২৪। মোহাম্মদ নূরু (৪৫), ২৫। মো. হানিফ (২৮), ২৬। আক্কাস আলী (৪০), ২৭। আবু তাহের মুরগী তাহের (৪৫) ২৮। মো. ইসমাইল (২৫)। 

এছাড়া আসামি হিসেবে অজ্ঞাত আরো ১২০ জন রয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে গত ১৬ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর আসামিরা হামলা চালায় ও আন্দোলন নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে। 

মুনতাসির/সাএ