
বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত ও উজানে বাঁধ বন্ধ করা এবং দাসত্বমূলক সকল চুক্তি বাতিলের দুই দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীরা৷
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টায় 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে'র ব্যানারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলা এলাকায় এসে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা 'যদি চাও মুক্তি, ছাড়ো ভারত ভক্তি; বন্যায় যদি মানুষ মরে, সেভেন সিস্টার থাকবে নারে; মোদির কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; ভারতীয় প্রকল্প, বন্ধ করো- করতে হবে' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে আবরার ফাহাদ শহীদ হয়েছে। ইতঃপূর্বে স্বৈরাচারী সরকার দ্বিপাক্ষিক চুক্তির নামে একপাক্ষিক সুবিধা দিয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ, বন্দর, সম্পদ লুট করেছে। আমরা বলতে চাই, সম্পর্ক হবে দ্বিপাক্ষিক। ভারতের সাথে দেশের স্বার্থের পরিপন্থি সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে। ভারত সবসময় আমাদের দেশের উপর কালো হাত দিয়েছে। কাজেই জাবিতে যখন তারা ৫০ কোটি টাকা দেয়, আমরা তা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারি না। কার স্বার্থ হাসিলের জন্য ভারত এখানে ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে তা আমরা জানতে চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহসান লাবিব বলেন, শেখ মুজিবের আমলে যখন ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করা হয়, মওলানা ভাসানী তখনই ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করে লং মার্চ করেছিলেন। মুজিবের আমলে ভাসানীর মত একজন সৎ দেশপ্রেমিক দেশনেতা অবহেলিত, নির্যাতিত ছিল। আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই- এখন বাকশাল নাই, স্বৈরাচার নাই যদি কৃত্রিমভাবে আমাদের দেশে দুর্যোগ সৃষ্টি করা হয় দিল্লিতে শাসন ক্ষমতা থাকবে না, সেভেন সিস্টার অক্ষত থাকবে না।
সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, কোনো সতর্কতা ছাড়া অন্যায়ভাবে বাঁধ খুলে দিয়ে যে দুর্যোগ সৃষ্টি করা হয়েছে তা যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে আমরা 'চিকেন নেক' বরাবর লং মার্চ ঘোষণা করবো।এতদিন স্বৈরাচার হাসিনা যে অন্যায্য সুযোগ দিয়েছে এখন আর সেই সময় নেই। বাংলাদেশের উপর অনধিকার করা হলে আমরা ছাত্রজনতা তা কখনোই সহ্য করবো না। নিজেদের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে অনধিকার হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন৷ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিল্ডিং হবে তবে সেটা আমাদের নিজেদের টাকায়। ভারতের কোনো প্রকল্প জাহাঙ্গীরনগরে বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর