
দেশের ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নজিরবিহীন বন্যায় এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব এলাকার সাড়ে ৩৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে এসব অঞ্চলে পানি বেড়েই চলেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা ও ফেনী অংশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫ কিলোমিটার মহাসড়ক এক থেকে দেড়ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, ফেনীতে একজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন ও কক্সবাজারে দুজন রয়েছেন।
এদিকে পর্যাপ্ত নৌযান ও অন্যান্য উদ্ধার যানের অভাবে পানিবন্দি এসব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও ব্যক্তি উদ্যোগের সংগঠনগুলো তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে বন্যার্তদের উদ্ধারে কাজ করছে। সরকারও বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
গত ৩৬ বছরে ফেনীতে এ ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। এবারের বন্যায় ফেনীর তিনটি উপজেলার ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ১০ জেলার ৬৫টি উপজেলার ৪৯৫টি ইউনিয়ন বন্যার কবলে পড়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মোট ৮২ হাজার ৬৯৪ জন মানুষ এবং ৭ হাজার ৭৫৫টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বন্যায় সড়ক ও রেলপথ তলিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সাথে সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর