গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাহমুদ জিন্স কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে বৃহত্তর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার সড়কপথে যোগাযোগ ছয় ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের যানবাহন আটকা পড়ে। দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। শ্রমিকদের শান্ত করতে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে শ্রমিকদের ক্ষোভ সামাল দিতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাভার ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন। শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দফায় দফায় শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন।
দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মাহমুদ জিন্স কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাফি আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। এ সময় শ্রমিকরা মালিকের উদ্দেশ্যে ছয় দফা দাবি প্রস্তাব করেন। দাবি না মানা হলে মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান করার হুঁশিয়ারি দেন তারা। পরবর্তীতে মালিক পক্ষ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েক দফায় শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে এবং তাদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর দীর্ঘ 6 ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানায়, গত দুই মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় তাদের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। চলতি মাসের ১৪, ১৮, ও ২২ তারিখ বকেয়া বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও মালিকপক্ষ তা রাখেনি। ২১ তারিখ আন্দোলনের মুখে মালিকপক্ষ ২২ তারিখ বেতন দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করে, কিন্তু কয়েকজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন প্রদান করা হলেও বাকিদের শুধু বেতনের খুদে বার্তা পাঠানো হয়। শ্রমিকরা ছয় দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর