গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী যখন পদত্যাগ করার ব্যস্ততায় ছিল তখন আমতলী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর করতে ছিল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। এ ঘটনার ২৪ দিন পর আমতলী থানায় লুটপাট ও ভাঙচুর মামলা হয়েছে।
বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ ৯৩ জন কে আসামি করা হয়েছে। পৃথকভাবে করা দুটি মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
একই ঘটনায় পৃথক দুই মামলার বাদী হলেন উপজেলা ছাত্রদলের শোয়েব আহমেদ এবং যুবদলের মো. জাকির হোসেন। এদিকে এই মামলার ঘটনায় হতাশ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার অভিযোগ মামলায় আওয়ামী লীগের অনেককেই আড়াল করা হয়েছে। যারা গত সতেরো বছর ধরে আমতলীতে দখল বাণিজ্য করে আসছে, অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে, যাদের প্রকাশ্যে মদদে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী হামলার শিকার হয়৷ ছে তাদের অনেকেই আসামি থেকে বাদ পড়েছে। তাদের রহস্য জনক আচরণ সন্দেহজনক বলে দাবি ঐ নেতার। মামলা তদন্তে তাদের নাম অন্তর্ভুক্তি দাবি করেছেন জীবনের শুরু থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল থেকে শুরু করা এই রাজনৈতিক নেতার।
আমতলী বিএনপি অফিস ভাঙচুর পৃথক মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আমতলী উপজেলা সভাপতি ও সদ্য অপসারিত মেয়র মতিয়ার রহমান। মামলায় অন্যান্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সাবেক আমতলী পৌরসভা মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু, আমতলী সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক জিএম হাসান; প্রমুখ।
এ ব্যাপারে আমতলী থানা অফিসার ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আমতলী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর