
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কোরাআন পোড়ানোর ঘটনায় মিথ্যা মামলা, চার্জশিট বাতিল ও পুনঃ তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোরআন প্রেমিক তাওহীদি জনতার আয়োজনে রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ জুলাই উপজেলার রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় রাতের কোন একসময় মাদ্রাসার অন্তত ৩০টি কোরআন শরিফ পুড়িয়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ফজরের নামাজ আদায় করতে গিয়ে স্থানীয় মুসল্লিরা বিষয়টি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরে গত বছরের ২৭ জুলাই রাতে এঘটনায় মামলার পর ২৮ জুলাই জামাত-বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার পুলিশ।
এদিকে, কোরআন শরীফ পোড়ানোর ওই ঘটনায় করা মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে চার্জশিট বাতিল ও মামলা পুনঃ তদন্তের দাবিতে রোববার দুপুরে উপজেলা গেটের সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে কোরআন প্রেমিক তাওহিদি জনতা।
মানবন্ধনে মার্কাজ মসজিদের খতিব উবাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল মিয়া, হাবিবুর রহমান লিটন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া মাকসিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান তারা, ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ, নালিতাবাড়ীর সভাপতি আবু ওয়ারেছ, তারাগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের খতিব মোস্তাক আহম্মেদ, তারাগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক আব্দুল জব্বার প্রমুখ।মানববন্ধন শেষে ইউএনও'র মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷
এ সময় বক্তারা বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতেই কোরআন শরিফে আগুন দিয়েছিলো। আর বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের নামে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে৷ আমরা চাই এই মিথ্যা মামলা বাতিল করে ঘটনার পুনঃ তদন্ত হোক এবং প্রকৃত দোষীরা শাস্তির আওতায় আসুক।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, আমার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এবিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করা হবে৷
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর