
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরে সোমবার (২৬ আগস্ট) দিনব্যাপি ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের অংশগ্রহণে এবং ভূমি মন্ত্রাণালয় ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাকিবুল হাসান।
অভিযান কর্মসূচির আওতায় এদিন ইসিবি, বিডি ক্লিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রানীশংকৈল উপজেলার সমন্বয়করা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সকাল ৯ টা থেকে পৌর শহরের কুলিক নদীর ব্রিজের দুইপাশ জুড়ে দীর্ঘদিনের পচা আবর্জনার স্তূপ পুড়িয়ে দেওয়া এবং করেন ব্যবহার করে পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি পৌর শহরের ফুটফাট দখল মুক্ত অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে এ স্থানে জমে থাকা আবর্জনা পচে এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এতে পথচারী ও এলাকাবাসী প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। এ নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এলাকাবাসী মানববন্ধন করে পৌরসভায় ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু তখন এর প্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্য ভূমি মন্ত্রাণালয় ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরে রানীশংকৈল পৌরসভার জয়কালী ব্রীজ (বড় ব্রীজ) এলাকায় ময়লা-আবর্জনা অপসারণের দাবিতে গঠিত কমিটির পক্ষে রিপ্রেজেন্টেশন প্রেরণ করেন।
এতে ময়লা আবর্জনা অপসারণের কাজ শুরু না হওয়ায় আইনগত নোটিশ ইস্যু করেন। পরবর্তীতে ১ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় ও ১৯ আগস্ট জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কুলিক নদীর ব্রিজের গোড়ায় ময়লা ফেলা বন্ধ এবং দূষণমুক্ত করে পৌরসভার নিদিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও ও শিক্ষার্থীরা আজ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এবিষয়ে ইউএনও রকিবুল হাসান বলেন, এ পচা আবর্জনা বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের লিখিত নির্দেশে আজ উপজেলা প্রশাসন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সহযোগিতায় এ আবর্জনা পরিষ্কার অভিযান চালানো হচ্ছে। আপাতত এ আবর্জনা সরিয়ে পৌর শহরের একটি আবর্জনা ফেলার স্থানে রাখা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর