কুমিল্লায় উজানের পানি ও টানা বর্ষণের কারণে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে বন্যায় চার দিানের বন্যায় নারী-শিশুসহ ১৪জনের মৃত্যু হয়েছে।এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর থেকে রাতের মধ্যে জেলার বুড়িচং, তিতাস, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম উপজেলায় পাঁচ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এর আগের দিন রবিবার জেলার তিতাস ও বুড়িচং উপজেলায় মারা যান আরও তিনজন। বন্যার শুরু থেকে পৃথক পৃথক সময়ে মারা যান আরও ছয়জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের বাঘাইরামপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের বড় মেয়ে, সামিয়া আক্তার (১০) ও একই গ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে আয়শা আক্তার (৮)। সামিয়া আক্তার স্থানীয় খাতুন কোবরা মহিলা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাহিদ আহমেদ তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলা সদর এবং পশ্চিমসিংহ এলাকায় পানিতে ডুবে হাসিবুল (১০) ও ইব্রাহিম (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোমবার বিকেলে নাঙ্গলকোট উপজেলার গোরকমুড়া এলাকায় সেরাজুল এবং রাতে মনোহরগঞ্জের মির্জাপুর এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে আরও দু্ইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আওশপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মুনিরুল হকের স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৫৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ্য আলী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর