রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় জিরা আটককে কেন্দ্র করে বিজিবি’র ওপর চোরাকারবারির অতর্কিত হামলা ঘটনায় মামলা হয়েছে। মো: রফিকুল ইসলাম নায়েক ই- কোম্পানির রৌমারী বিওপি বাদী হয়ে আনসার আলীসহ ১৫জন নামি এবং অজ্ঞাত ১৬/১৭জনকে আসামি করে রৌমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি রৌমারী থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য যে, চোরাকারবারিরা বিজিবির উপর হামলা করে, বিজিবি আত্মরক্ষার জন্য একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে চোরাকারবারিরা তাদের কে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী সদর ইউনিয়নের নওদাপাড়া সীমান্তে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সোমবার ভোররাতে লেবু মিয়া, আলম মিয়া, জাইদুল ইসলাম, আনসার আলী ও ছাইদুর রহমান সহ ৪০/৫০ জনের একদল চোরাকারবারি ভারত থেকে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নং ১০৬৩ মেইন পিলারের দক্ষিণ পাশ দিয়ে আড়কির মাধ্যমে কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে ভারত থেকে জিরা, মাদকসহ বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় পণ্য পাচার করছিল। এসময় বাংলাবাজার ও রৌমারী সদর ক্যাম্পের বিজিবির টহলদল তাদের ধাওয়া দিলে চোরাকারবারিরা তাদের মালামাল গুলো সীমান্তে ফেলে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ওই চোরাকারবারির দল লাঠি-সোঠা নিয়ে সঙ্গবদ্ধ হয়ে বিজিবি’র ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
এসময় বিজিবি’র দল আত্মরক্ষার জন্য মায়াজাল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিলে চোরাকারবারিরা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতরা হলেন- রৌমারী সদর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য আবু রায়হান (৩১), বিজিবি’র সোর্স মজিবুর রহমান (৭০) ও আশ্রয়দাতা বাড়ির মালিক মায়াজাল হোসেন (৫৫)। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে জামালপুর ৩৫ ব্যাটালিয়নের লে: কর্নেল হাসনুর রহমান এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গ্রামবাসীকে সতর্ক করে বলেন, জিরা ধরাকে কেন্দ্র করে যারা আমার বিজিবি’র ওপর চড়াও হয়েছে প্রকৃত চোরাকারবারিদের তালিকা করে আমাকে দেন। অন্যথায় গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা বলেন, এঘটনায় বিজিবি’র পক্ষে থেকে মামলা হয়েছে। আসামি ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর