আমতলী উপজেলার অসহায় হতদরিদ্র উন্নয়ন প্রকল্পের আইসিভিজিডি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা যায়,বরগুনা আমতলী উপজেলায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় পিছিয়ে পড়া অসহায় হতদরিদ্র নারীদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ৫ নভেম্বর ২০২৩ সালে আইসিভিজিডি ১বছর মেয়াদি টিএমএমএস'র বাস্তবায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
প্রকল্প পরিচালনায় উপজেলায় (এলএফ) হিসেবে মাঠে ১১জন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হলেও বাস্তবে মাঠে (৬)জন এলএফ কে দিয়ে প্রকল্প পরিচালনা করে থাকে। নানান অনিয়ম আর নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রকল্পের শুরু হলেও কেউ ভয়ে মুখ খোলেনি। ঘুষের বিনিময় এলএফ ও ট্রেইনার পদে অযোগ্য লোক নিয়োগ।
কাগজ কলমে( ১১)জন এলএফ নিয়োগ দেখিয়ে মাঠে(৬) জন এলএফ দিয়ে কাজ করিয়ে বাকি ( ৫)এলএফ এর ভুয়া পদ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ। বিষয়টি জানাজানি হলে চলতি মাসের ৫তারিখ( ৫)এলএফ দের বদলি দেখিয়েছেন।
এল এফ সোহানুর রহমান নামে একই ব্যক্তিকে পলাশ নামে আলাদা ব্যক্তি দেখিয়ে ট্রেইনার পদে ভুয়া নাম দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ। আইসিভিজিডি প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সুবিধা দিবে বলে বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।
সুবিধাভোগী সদস্যের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান দেয়ার কথা বলে ১হাজার, পাশ বই বাবদ ১শ', হেপী ট্যাপের কথা বলে জন প্রতি ১শ ৫০টাকা হিসাবে সমিতির ১হাজার ৩শ ৯৩ সুবিধাভোগীদের সদস্য প্রতি ১হাজার ২শত ৫০টাকা আত্বাসাত করেছে কর্মকর্তারা। সমুদয় টাকা টিএমএসএসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এল,এফ জুলিয়া ও মালাসহ টিএমএসএস'র কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সদস্যের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য করেন।
আমতলী সদর ইউনিয়নের আইসি ভিজিডি সমিতির সুবিধাভোগী খালেদা বলেন, আমাদের সমিতির জুলিয়া আপা সদস্যের কাছ থেকে অনুদান, পাস বই, হ্যাপি টেপ বাবদ ১হাজার ২শ ৫০টাকা নিয়েছেন। যখন যেখানে টাকা দিতে বলত আমরা দিয়ে দিতাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রকল্পের কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, এখানে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতি হয়েছে।এর প্রতিবাদ করলে আমাকে চাকরিচ্যুত সহ ভয় ভীতি দেখান।তিনি আরো বলেন এ অনিয়মের পেছনে বড় কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে আমতলী উপজেলা কো-অর্ডিনেটর (L.F.D.C) মো:আলআমিন বলেন, এ প্রকল্পে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।
আইসিভিজিডি প্রকল্পের ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর মো. সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, আমরা স্বচ্ছতার সাথে কাজ করি।কেউ ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, কোন কর্মকর্তা ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর