কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি অবশেষে বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করেছে। বর্তমানে নদীটির পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান। তিনি জানান, গোমতী নদীর পানি কমছে। বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
এর আগে, গত ২২ আগস্ট রাতে গোমতীর পানি বিপৎসীমার স্মরণকালের সর্বোচ্চ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। সেদিন রাতে পানি বিপৎসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওইদিন দিবাগত রাত ১২টার দিকে নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানির প্রবাহ বাড়ে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করে।
বাঁধ ভাঙার পর থেকে কমতে থাকে গোমতীর পানি। পরদিন শুক্রবার ও শনিবার বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার কমতে থাকে। রোববার ও সোমবার ৩-৭ সেন্টিমিটার কমে প্রবাহিত হয়। সোমবার পর্যন্ত পানির প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে। বুধবার দুপুরটার দিকে বিপৎসীমার সমান হয় এ নদীর পানি।
এদিকে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মুখোমুখি হয়েছে কুমিল্লার বুড়িচং, ব্রাহ্মনপাড়া। উজানের টানা ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গোমতী নদী এবং সালদা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে উপজেলার মোট আয়তনের ৯৫ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে এ উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭০ হাজার পরিবার। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে শত কোটি টাকা।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর