মেহেরপুরে সন্ত্রাস দমন আইনে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল, সহযোগী আমাম হোসেন মিলুসহ ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অভিভাবক এবং জনসাধারণের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় ঐ দিন সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুরের শহরের বড়বাজার, সদর হাসপাতাল মোড়, কলেজমোড় এর রাস্তায় ঘটনাস্থলে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো রামদা, কিরিচ, লোহার রড, ছোরা, চাকু, ডেগার, বাশের লাঠি সহ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ভয়ভীতি, খুন, জখম করার উদ্দেশ্যে মটর সাইকেলে চড়ে মহড়া দিতে দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তখন আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ ভীত সমাপ্ত হয়ে পড়ে এবং আসামিদের হামলায় ছাত্র- জনতা এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করার সময় আসামীরা উপস্থিত ছাত্র ও জনতাকে খুন-জখমের হুমকি প্রদান করে। পরে ৫০/৬০ জন অজ্ঞাতসহ আসামীরা হাসপাতাল মোড়ে উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলে মিছিল করে অন্যান্য সাধারণ মানুষ ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের সন্ত্রাসী স্টাইলে হুমকি প্রদান করে ত্রাস সৃষ্টি করে। এতে সাধারণ মানুষজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরে এবং জীবন বাঁচানোর জন্য এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে আসামীরা হুমকি দিতে দিতে মেহেরপুর শহরের দিকে সহ বিভিন্ন দিকে চলে যায়। বর্তমানে সাধারণ মানুষজন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা আতঙ্কের মধ্যে আছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বুড়িপোতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামাল, শ্যামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বারাদি ইউপি চেয়ারম্যান ও মোমিনুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম সাজেদুল, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহাফুজুর রহমান রিটন, আওয়ামী লীগ নেতা উপপ্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরণ, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্টেডিয়াম পাড়ার আনারুল ইসলাম, রাশেদ লতিফ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান পোলেন, ভূমি অফিস পাড়ার তুফান, মো: আবু, অঙ্কুর, ঘোষপাড়ার আতাউর রহমান, বলিয়ারপুরের স্বপন, জুয়েল, রফিকুল, বেল্টু, টুঙ্গি গ্রামের শরিফ, খোকসা শেখ পাড়ার আনারুল,কদর আলী, সাজ্জাদ, দিঘীরপাড়ার আতিয়ার রহমান, খলিলুর রহমান, হাশেম আলী, ভেটা, মনিরুল , রানা, পিয়াদাপাড়ার চপল, বোস পাড়ার মো: মতি, বাধন খান, থানা রোডের মেজবাহ, তাহের ক্লিনিক পাড়ার মো: আরিফ, মালোপাড়ার মো: অনিক, পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার জুয়েল, গোরস্থান পাড়ার মো: বাবুল, পিরোজপুরের তোফা মোল্লা, নাসির উদ্দিন, সাধন, লুতফর রহমান, বাহার গজারি, মিঠুন, মো: সোহাগ, বকুল, মো: আদম মেম্বার, বলিয়াপুর গ্রামের মো: সাত্তার, মো: আবদুল্লাহ, মোস্তফা, ইজারুল, মসলেম, মো: সুমন, আনারুল, ডাবলু, বাবলু, ইসরাফিল, সানি, আতিয়ার, ইসরাফিল, ওয়াদুদ, পচা, মিয়ারুল ইসলাম পড়–, পচা, আজাহার আলী, জাহাঙ্গীর, সরোয়ার, সাইদুল, জুয়েল, জুয়েল, সোহেল, আলাই, আখের, মন্টু, শরিফুল, ইসরাফিল, সাজাহান, উজ্জল, লালন, সেলিম, সাহাবুল, টুটুল, মুন্তাজ, শফিকুল, সালাম, হাকিম, মন্টু, শাহিন, কালাম, লিজন, জুয়েল, লাল, কালু, আজি, হাফি, কুদ্দুস, শরিফুল, মুকুল, মইদুল, হাসান,রিপন, ফজল, খালেক, শহিদুল মাস্টার, কালু, কালূ মেম্বার, পশ্চিম সিংহাটি গ্রামের মো: আলা, যুগিন্দা গ্রামের মো: রাকিব, পাটকেল পোতার আনারুল মাস্টার, বারাদি কলোনি পাড়ার মামুন, বর্শিবাড়িয়ার মকবুল, জুয়েল, মো: লিটন, রাজনগর গ্রামের মো: মুক্তি, মো: ওলি, কলাইডাঙ্গা গ্রামের নাইস, চাঁদপুর গ্রামের লিটন, আমঝুপি ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছেলে সেলিম রেজা, আমঝুপি শহিদুল ইসলাম সাগর, আনিছুর রহমান, সোহেল রানা সবুজ, মতিয়ার রহমান, সামসুজ্জামান, আলফাজ হোসেন, মো: টুটুল, আলমগীর হোসেন, আবু লায়েছ, মো: চানা, নতুন মদনাডাঙ্গার মো: সোহাগ, ইসলামনগর গ্রামের কাশেম মেম্বার, নুরপুরের সুমন, ফতেপুর গ্রামের মিলন, বামনপাড়ার আব্দুল আউয়াল, ফারুক, লিটন, ২ নম্বর ওয়ার্ড মালোপাড়ার বোরহান, রকি, নতুন দরবেশপুরের টনিক বিশ্বাস, মোনাখালীর আঙুর, দক্ষিণ শালিকার কালাম।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, মামলাটি আমলা নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর