খুলনার পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা-মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হামলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক সুমন সহ ৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মামলাটি করেছেন পাইকগাছা সরকারি কলেজের অনার্স ২বর্ষের ছাত্র আহত মো. মিরাজ হোসেন। সে উপজেলার গদাইপুর ইউপির গোপালপুরের ইসমাইল গাজীর ছেলে।
জানা গেছে, ২৬ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার গদাইপুরের বোয়ালিয়া মোড়ে রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে। মামলার বাদী মিরাজ হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ২৫ আগস্ট রাত ৮ টার দিকে বোয়ালিয়া মোড়ে রনি'র পোল্ট্রি ফিডের দোকানে আমরা শিক্ষার্থীরা বসে বন্যার্তদের ত্রাণের সাহায্যের লিস্ট প্রস্তুত করছিলাম। এ সময় রনি তার দোকানের ফ্যান চালু করলে আমাদের অসুবিধার হচ্ছিল। এ কারণে আমরা তাকে ফ্যান বন্ধ করতে অনুরোধ করি। এক পর্যায়ে সে আমাদের দোকান থেকে বের হতে বলে।
এ নিয়ে আমাদের সাথে তার তর্ক-বিতর্ক হয়। পরের দিন বিকেলে বোয়ালিয়া যাত্রী ছাউনির কাছে শিক্ষার্থীদের ত্রাণের তালিকা তৈরীকালে রনি ও ইব্রাহীমসহ অন্যান্য কয়েকজন হঠাৎ করে লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। হামলায় রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক সুমন আহমেদ ও হুসাইনসহ ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় পুরাইকাটির মো. মাজেদ এর ছেলে মেহেদী হাসান রনি (২৪), জাহাঙ্গির দফাদারের ছেলে ইব্রাহীম (২০) ও মো. ইয়াসিন ডাক্তারের দু'ছেলে আরিফুল (৩৩) ও সাইফুল গাজি (৩৫) সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি মো. ওবাইদুর রহমান জানিয়েছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর