একমাত্র ছেলের স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা মামলায় আমিরুল ইসলাম নামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার (২৮ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক তৌহিদুল ইসলাম আমিরুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওনা জারি করে।

শিক্ষক আমিরুল ইসলাম মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের মৃত কায়েম ফরাজির ছেলে এবং পলাশীপাড়া (পূর্বপাড়া) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে সোহাগের সাথে প্রায় ১৩ বছর পূর্বে একই গ্রামের আকরাম হোসেনের মেয়ে মৌসুমি খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। বর্তমানে তার দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে মৌসুমীর শ্বশুর আমিরুল দীর্ঘদিন যাবৎ তার পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। বিষয়টি তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি।

এদিকে গত ১৭ জুলাই রাত ৯ টার দিকে মৌসুমি খাতুন খাওয়া দাওয়া শেষ শোয়ার ঘরে যাওয়ার পরপরই তার স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে আমিরুল ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে যাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। জোর জবরদস্তি একপর্যায়ে আমিরুল তার পুত্রবধূর তলপেটে লাথি মারে। পরে তাকে কিল ঘুসি মেরে ফেলে রেখে পালিয়ে যাই। মৌসুমির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরদিন (১৮ জুলাই) মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মৌসুমিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গাংনী থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করায় (১৮ জুলাই) মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন কামনায় (সংশোধনী /২০২৩) এর ৯/৪(খ)ধারামতে W/A প্রদান পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন। পরে আদালত মেহেরপুর গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আদালতের রিপোর্ট দাখিল করেন।

মামলার তদন্তের উল্লেখ করা হয় যে, মামলাটি সার্বিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় সাক্ষীদের জবানবন্দি এবং ভিকটিমের জখমি সনদপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে আমিরুল ইসলাম বাদীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা সহ মারপিট করে সাধারণ জখম করায় তার বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী /২০২৩) এর ৯/৪(খ)ধারায় অপরাধ সহ পেনাল কোড এর ৩২৩ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রকাশ পায়। আজ বুধবার বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

সালাউদ্দিন/সাএ