
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে ক্যান্টিন বয়কে মাদকসহ হাতেনাতে আটক করেছে হলের নিরাপত্তা কর্মীরা। এ ঘটনায় হলের একটি ক্যান্টিন বন্ধ করে দিয়েছে হল প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর দুইটা নাগাদ মীর মশাররফ হোসেন হলের 'এ' ব্লকের তৃতীয় তলায় পূর্ববর্তী তথ্যের ভিত্তিতে ক্যান্টিনবয় মোহাম্মাদ আসিফকে হাতেনাতে গাঁজাসহ আটক করে হলের নিরাপত্তা কর্মীরা। এরপর তার কাছে গাঁজা পাওয়া যায়। নিরাপত্তাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তাকে হল প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে।
এর আগেও মোহাম্মাদ আসিফের বিরুদ্ধে মীর মশাররফ হোসেন হলে মাদক সরবরাহের অভিযোগ উঠেছিলো এবং তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তারা আরও জানান, টাকার বিনিময়ে দীর্ঘদিন ধরে হলের মাদক সরবরাহের কাজ করে আসছে হলের এই ক্যান্টিনে আসিফ।
এসময় তার ক্রেতা বা নিয়মিত মাদকসেবী হিসাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম উঠে আসে, এদের মধ্যে আছে শিহাদ (ভূতত্ত্ব-৪৯), প্রিন্স (প্রাণিবিদ্যা-৪৯), বাধন (উদ্ভিদবিদ্যা-৪৯), আক্তারুজ্জামান বাবু (সরকার ও রাজনীতি-৪৯) যারা প্রত্যেকেই নিয়মিত মাদকসেবী ও তার ক্রেতা বলে জানা যায়।
এ ছাড়াও একই অভিযোগে অভিযুক্ত সোহান (দর্শন-৪৫), শফিক (৪৩ তম আবর্তন), লতিফ (বাংলা-৪৪), মোস্তাকিম (ভূতত্ত্ব-৪৭), আরিফ (দর্শন-৪৭), যারা সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। এছাড়াও পরিবেশ বিজ্ঞান (৪৮ তম আবর্তন) এর আতহার রাব্বি বহিরাগত ১০-১৫ জন এনে নিজের রুমে (২৫০/বি) নিয়মিত গাঁজার আসর বসান বলে বলে স্বীকারোক্তি দেয় আসিফ। সকল মাদকের সরবরাহ সে পার্শ্ববর্তী এলাকা কলমা থেকে পায় বলে জানায় সে।
অভিযুক্ত আসিফের বাবা, হল ক্যান্টিনের পরিচালক উজ্জ্বল বলেন, আমি ছেলেকে সময় দিতে পারিনা, ক্যান্টিনের কর্মচারী নাই, আমি আর ওর মা সারাদিন কাজ করি, যার ফলে ছেলে খারাপ সংস্পর্শে বখে গেছে।
মাদকসেবী ও আসিফের নিয়মিত ক্রেতা শিহাদকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে সে নিয়মিত মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে ও মাদকসেবন ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানায়।
আসিফের স্বীকারোক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় লেকু ও পার্শ্ববর্তী এলাকা গেরুয়া এলাকায় খান মাদক সাপ্লাই দেয় বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, মাদকের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করবো। শুধু চুনোপুঁটিদের নয়, আমরা মাদকের মূল হোতাদের ধরতে চাই। যারা মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে হলে রেখে হলের পরিবেশ নষ্ট হতে দেবো না আমরা। এ ব্যাপারে একসাথে বসে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেব আমরা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর