দীর্ঘ ১৬ বছর পর পালিয়ে গেলো স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। অত্যাচারী হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই অবুঝ বাঙালি স্বাধীনতার ডেকুর তুললো।তবে আমার কাছে মনে হয় না বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে মুক্তি পেয়েছে।
১৯৭১ সালে সত্যিকারের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার অভ্যুত্থান হয়েছে।এসব অভ্যুত্থানের পেছনে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ও রাজনৈতিক দল। তবে এবারের অভ্যুত্থানের চিত্র ছিল ভিন্ন।কারণ সেনাবাহিনী ছিল জনতার পক্ষে।
হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ক্ষমতায় থাকাবস্থায় যত অপকর্ম করেছেন তা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে। আয়নাঘর থেকে হাসিনা পরিবারের দুর্ণীতি সবকিছুই এখন প্রকাশ্যে। যে হাসিনা ও তার দলের মন্ত্রী-এমপি এবং নেতাকর্মীরা ক্ষমতায় থেকে এতোকছিু করেছেন সেই হাসিনা পালিয়ে গিয়ে চুপ থাকবেন এটা ভাবা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। এর প্রমাণ আনসার সদস্যদের সচিবালয় ঘেরাও ও বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি এই অত্যাচারী হাসিনার পরিকল্পনাই। এভাবে হাসিনা ও তার দলের নেতা কর্মীরা তাদের নোংরামী করবেন। তাই সবার সতর্ক থাকা উচিত।
এদিকে আরেকটু খেয়াল করে দেখুন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যখন পালালেন, তারপর থেকেই কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শুরু করলেন তাদের তাণ্ডব।৫ আগস্ট বিকেলে থেকে এখন পর্যন্ত আমি দেখেছি হাসিনার আমলের চেয়েও ভয়ানক অবস্থা।
রাস্তায় সেই পুরনো ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের মতো লাঠিয়াল বাহিনী প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সোডাউন করছে। আপনারা হয়তো অনেকেই বলতে পারেন যে এটা আওয়ামী লীগকে হটানোর জন্য কিন্তু না। এখানে আমি অনেক সাধারণ পরিবারে লুটপাট হতে দেখেছি। অনেক সরকারি জমি দখল করে রাতারাতি ঘর তুলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাইনবোর্ড টাঙাতে দেখেছি।অনেক সাধারণ মানুষকে মার খেতে দেখেছি। হাসিনা পালানোর পর যদি বাংলাদেশ সত্যিকার্থে স্বাধীন হতো তাহলে এটা কি করে হয়? এর মানে হলো বাংলাদেশ সত্যিকারের স্বাধীনতা অর্জন করেনি।
তাই সবাই মিলে স্বাধীনতার ডেকুর না তুলে আমাদের এই দেশ এবং দেশের সকলে হিসাং, বিদ্বেষ ভুলে সকল ধর্মের এবং সব শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে কিভাবে একটি সোনার বাংলাদেশ গড়া যায় সেটাই ভাবুন। এখন সেটার সুযোগ রয়েছে।তাই কাজে লাগান। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সবার কাছেই দেশ পরিচালনায় লিখিত পরামর্শ চেয়েছেন। তাই সবাই সোনার বাংলা গড়াতে পরামর্শ দিন।
মাসউদুর রহমান
সাংবাদিক ও লেখক
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর