চা বিক্রেতা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নরেন্দ্র মোদির কথা কমবেশি সবারই জানা। এছাড়াও চা বিক্রি করে জীবনে সফলতার চূড়ায় ওঠার অনেক ঘটনা রয়েছে। কিন্তু শিক্ষকতা চাকরির লোভে একজন চা বিক্রেতা প্রভাব খাটিয়ে একটি বিদ্যালয় এক স্থান থেকে সরিয়ে করে অন্য স্থানে স্থাপন করে সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েছেন- এমন ঘটনা বিরল।
বলা হচ্ছে, ২০২৩ সালে দেশসেরা পুরস্কারপ্রাপ্ত ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ‘শিক্ষক’ হয়ে ওঠার নেপথ্যের ঘটনা ।
এ বিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য সরকার অনুমোদিত জমি থেকে সরিয়ে নিজের জমিতে স্থাপন করার পর একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে প্রভাব খাটিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন চা বিক্রেতা এরফান আলী। তিনি একা নন বিদ্যালয়ের সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব ও ভয় দেখিয়ে একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি দিয়েছেন নিজের স্ত্রী সুরাইয়া পারভীন ও দুই বোন রেহেনা খাতুন এবং মিতালি পারভিনকে। সেই থেকে একই পরিবারের চারজন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে বিদ্যালয়টি।
সম্প্রতি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ তুলে ধরে তদন্ত দাবি করেন স্থানীয় গ্রামবাসী ও গ্রামের ওই স্কুলের সাবেক একাধিক বঞ্চিত শিক্ষক ও শিক্ষকের চাকরি প্রত্যাশী একাধিক যুবক এবং বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান।
এদিকে ২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি আগের জায়গা থেকে তুলে নিয়ে এসে তার জমিতে স্থাপনের পর গ্রামের এক যুবককে শিক্ষকতার চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাত লাখ টাকা নেন এরফান আলী।
অভিযোগ তুলে ধরে গ্রামের চাকরিপ্রত্যাশী যুবক জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে এরফান আলী যখন বিদ্যালয় আগের জায়গা থেকে তুলে নিয়ে তার নিজ জমিতে বিদ্যালয়টি নিয়ে আসেন তখন আমাকে তাদের সঙ্গে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের প্রস্তাব দেন এবং আমার থেকে ৭ লাখ টাকা নেন। তারপরেও চাকরি দেননি। এখনো পুরো টাকা ফেরত দেননি তিনি। এই চাকরিপ্রত্যাশী ক্ষতিগ্রস্ত যুবক বলেন, ২০১৪ সালের আগে এরফান আলী কোনো শিক্ষকতা করেননি। তিনি যে ২০০৮ সালে তার চাকরি যোগদান দেখাচ্ছেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
গ্রামবাসী জানান, তৎকালীন সরকার কর্তৃক প্রত্যেক ওয়ার্ডে দুইটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার ঘোষণা আসে। সে সময় এ ওয়ার্ডে একটিমাত্র সিংহাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। গ্রামের শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে ২০০০-২০০১ সালের দিকে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় গ্রামবাসী। এর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হলে কীভাবে বিদ্যালয় চালু করতে হবে সে নিয়ম জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। সব নিয়মকানুন মেনে বিদ্যালয়ের জন্য ৩৩ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন গ্রামের দুই ব্যক্তি আ. রহমান ও কদম আলী। এই জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে স্থাপন করা হয় চরভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং গ্রামের লোকজন এক সভা আহ্বান করে গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমানকে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়।
চরভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, সে সময়কালে আমাকে সভাপতি করে একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয় এবং ওই বছরে একটি দৈনিক পত্রিকায় একজন প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আলতাফুর রহমানসহ আরও তিনজন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। তার দাবি সে সময় নিয়মিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একাধিক কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে গেছেন।
সে সময় শিক্ষক হিসেবে ছিলেন আলতাফুর রহমান, নাসরিন আক্তার, নুর নাহার, জসিম উদ্দীন।
তৎকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক নাসরিন আক্তার বলেন, গ্রামের কিছুসংখ্যক শিশুকে নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে পাঠদান করানো হতো। যেহেতু ২০১১ সালের আগে পাঠদানের অনুমোদন পায়নি বিদ্যালয়টি তাই সেসব শিশুদের পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হতো। প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল, পাঠদানের সরকারি অনুমতি নেই, শিক্ষকদের বেতন ভাতা নেই একটা সময় খুব স্বাভাবিক কারণেই বিদ্যালয়টির কার্যক্রম ঢিলেঢালা চলতে থাকে। এছাড়াও অভিভাবকগণের অনিচ্ছার কারণে ছাত্র-ছাত্রীও কমতে শুরু করে। প্রধান শিক্ষক জীবিকার তাগিদে গ্রাম ছেড়ে বিদেশে চলে যায়। অন্য শিক্ষকদেরও জীবিকার জন্য অন্যখানে যেতে হয়। তবে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের স্বপ্ন নিয়ে আমরা আশায় বুক বেধেছিলাম। ২০১৩ সালে যখন বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয় তখন আমরা আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আমাদের লাগানো গাছের ফল এখন ক্ষমতার জোরে ভোগ করছে অন্যজন।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, এরফান যেহেতু আমার মামাতো ভাই হয় ২০১৪ সালে সে আমার বাসায় আসে এবং বলে আমার চাকরি বহাল থাকবে যদি আমি সাত লাখ টাকা দেই। সেদিনই সে ২ লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে দেখি সে চাকরি দিতে তালবাহানা করে। এখনো পুরো টাকা ফেরত দেয়নি।
এই শিক্ষকের স্বামী সাবেক সেনা সদস্য রবিউল আওয়াল বলেন, ২০০২ সালে যখন আমার বিয়ে হয় তখন আমার স্ত্রী শিক্ষকতা করতেন। আর আমার আত্মীয় এরফান আলী ছিলেন চায়ের দোকানদার। ২০১৪ সালে তিনি আমাকে জানান আগের স্কুলের সবকিছু নাকি বাদ হয়ে গেছে। তাই নিজ জমিতে তিনি একটা বিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন নিয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন ২০১৪ সালের আগে এরফান আলী কোথাও কোনোদিন শিক্ষতা করেননি অথচ আমি এখন তার যোগদানের কাগজে দেখছি তিনি নাকি ২০০৮ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি যোগদানের পরদিন তার স্ত্রী ও দুই বোনও সেখানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। এটা আপাতদৃষ্টিতে প্রতারণা আর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া আর কি হতে পারে? এখানে কোন অনিয়ম নিশ্চয় হয়েছে! ২০০৮ সালে কোন ম্যানেজম্যান্ট কমিটি তাদের নিয়োগ দিলেন? যেখানে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এরফানের জমিতে কোনে বিদ্যালয় ছিল না। আমরা তদন্ত চাই। এরফানের কর্মরত বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র এবং শিক্ষকদের নিয়োগ ও শিক্ষাগত সনদসহ সকল কাগজপত্র যাচাই করা হোক।
২০১১ সালের ৮ মে, রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের এক কাগজ এই প্রতিবেদকের হাতে আসে। সে কাগজে সিংহাড়ী মৌজার ১৯৯০ ও ১৯৯১ দাগে ৩৩ শতক জমিতে নির্মিত চরভিটা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০১১ সালে যেসব দাগ উল্লেখ করে চরভিটা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিলো রংপুর বিভাগের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সে জমিতে কোনো বিদ্যালয় নেই। ধানের চাষাবাদ হচ্ছে। এলাকাবাসী বলছে এটিই সেই জমি যা এখনো সরকারই মালিক। তাহলে এরফান আলী যে চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছে সেটি কোনটি? নাকি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পূর্বের জমির অনুমোদনের কাগজ দিয়ে তার জমিতে বিদ্যালয় পরিচালনা হয়ে আসছে? তার জমিতে বিদ্যালয় বৈধ কি না জানতে চান এলাকাবাসী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রবীণ গ্রামবাসী জানান, চা বিক্রেতা এরফান আলীর শিক্ষকতা করার ইচ্ছা থাকলেও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। গ্রামে ২০০০-২০০১ সালের দিকে বিদ্যালয় হওয়াতে তার এ লোভ অতি লোভে পরিণত হয়েছিলো। সে যেন এখানে অসৎ উপায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারে এর জন্য নকল শিক্ষাগত সনদসহ নানা কৌশল অবলম্বন করে। যখন কোনোভাবে পেরে ওঠে না তখন নিজে থেকে নানা নাটকীয়তার জন্ম দেয় এবং গ্রামবাসী অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামছাড়া করার পাঁয়তারা করে।
এলাকাবাসীর দাবি, এরপর ২০১৩ সালে দেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহ জাতীয়করণ হলে শিক্ষক হওয়ার লোভ মাথাচড়া দেয় এরফান আলীর। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আমলের মোক্ষম সময়ে সরকার দলীয় নেতাদের মদদে সরকার অনুমোদিত জমিতে অস্থায়ী বিদ্যালয় ঘর খুলে দিনেদুপুরে গায়েব করে দেন এবং পরবর্তীতে নিজের জমিতে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন এবং প্রভাব খাটিয়ে প্রধান শিক্ষক হয়ে যান।
এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন বিদ্যালয়ের তৎকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান।
এ বিষয়ে জানতে পূর্ব অনুমতি নিয়ে চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরফান আলীর দেওয়া নির্ধারিত দিনে তার বিদ্যালয়ে কাগজ পত্র যাচাই ও তার বক্তব্য নিতে গেলে তাকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোন ও মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে অভিযোগ ও বিভিন্ন প্রশ্নের বৈধ কাগজপত্র চাওয়া হলে তিনি এই প্রতিবেদককে কোন কাগজ পত্র দেননি। এরপরেও তাকে তিন দিনের সময় দেয়া হলেও তিনি মেসেজের কোন উত্তর দেননি।
তবে তার স্বাক্ষরিত বিদ্যালয়ে দানকৃত একটি জমির কাগজ এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যেখানে ২০১৫ সালে ২০১৪, ২০২২ ও ২০৫৪ তিন দাগে ২৪ শতক জমি তিনি বিদ্যালয়ের নামে দান করেছেন। যদিও এরফান আলী এ কাগজের সত্য মিথ্যা কোনোটাই যাচাই করতে দেননি এবং এ কাগজ তাকে পাঠালেও কোন জবাব দেননি।
স্থানীয়দের দাবি এরফান আলী স্বাক্ষরিত কাগজে এই তিন দাগে উল্লিখিত জমিতে বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন, অফিস কক্ষ ও একটি পুকুর রয়েছে। তাদের প্রশ্ন চরভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হলে ২০১৫ সালে এরফান আলীর দানকৃত জমিতে নির্মিত বিদ্যালয়টি কীভাবে জাতীয়করণ হয়? ব্যক্তিগত জমিতে নির্মিত বিদ্যালয় কি জাতীয়করণের আওতায় আসতে পারে? যদি তা না হয়। এ বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত চান সচেতন এলাকাবাসী।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরফান আলীর দাবি তিনি কোন বিদ্যালয় সরাননি। তার দাবি ২০০১ সাল থেকে অদ্যাবধি নিজের স্থাপিত চরভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করে আসছেন।
কিন্তু কাগজে কলমে দেখা যাচ্ছে ২০০৮ সালে ২৭ ডিসেম্বর এরফান আলী চরভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেছেন এবং এই বছরের পহেলা ডিসেম্বরে তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যদিও তার শিক্ষাগত সনদপত্র নিয়ে সন্দেহ আছে এলাকাবাসীর। স্থানীয়দের প্রশ্ন ২০০৮ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলে এবং সে বছরে চাকরিতে যোগদান করলে ২০০১ সাল থেকে কোথায় শিক্ষকতা করেছেন তিনি?
তৎকালীন চরভিটা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান বলেন, যখন স্কুল ঘরটি ভাঙ্গা হয় তখন আমরা এরফান আলীর ভয়ে ছিলাম। সে সব সময় আমাদের হুমকি ও মামলার ভয় দেখাতো। তবে আমি সাহস করে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছি। বিদ্যালয় জাতীয় করণ হওয়ার আগে আমরা যত নথিপত্র তৎকালীন রাজশাহী বোর্ডে প্রেরণ করেছিলাম তার নথি কিভাবে যেন গায়েব হয়ে গেছে। আমরা বর্তমান চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারের নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা তার সত্যতা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জানতে চাই। এ বিষয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনকে অভিযোগ পত্র দিয়েছি। যদি এরফান আলী প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সাথে প্রতারণা করে থাকে তাহলে আমরা তার বরখাস্তের দাবি জানাই।
ঠাকুরগাঁওয়ের সদস্য সচিব মো. মাহবুব আলম রুবেল বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অনেক অপরাধ ও বে ইনসাফ বৈধতা পেয়েছে। চরভিটা সরকারি বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়েছে কিনা অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। অনিয়ম হয়ে থাকলে এর পেছনে কারা কারা জড়িত তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তের আগে কিছু বলা ঠিক হবে না।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর