সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে দলবল নিয়ে একটি মাজার ভাংচুর এবং মাজারের গায়ে পা দিয়ে আঘাত করায় করার অভিযোগে মসজিদের ইমামকে চাকরিচ্যুত করেছেন গ্রামবাসী। শনিবার উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের শালগ্রাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম গোলাম রব্বানী ফজরের নামাজ পড়াতে এলে মুসুল্লীরা তাকে চাকরীচ্যুত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী বামনজানি বাজারের পাশে আলী পাগলার মাজার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার শালগ্রাম তমিজউদ্দীনের বাড়ি জামে মসজিদের পেশ ইমাম গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোকজন বামনজানি বাজারের পাশে আলী পাগলার মাজারের গিয়ে তান্ডব চালায়। তারা হাতুড়ি, কোদাল, শাবল দিয়ে মাজারের সকল স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর করে এবং মাজারের উপরে উঠে পা দিয়ে আঘাত করে। মুহুর্তেই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা। মাজার ভাংচুর ও পা দিয়ে আঘাতের প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে শালগ্রাম বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী। এ সময় কয়েকশ মানুষ তুমি কে আমি কে মুসলমান মুসলমান এমন শ্লোগান দেয়।
এ বিষয়ে শালগ্রাম জামে মসজিদের মুসুল্লী আজগর আলী ও আব্দুর রহমান বলেন, একজন একজন মুসলমান হয়ে আরেকজন মুসলমানের কবর কিভাবে পা দিয়ে আঘাত করে অসম্মান করতে পারে। গোলাম রব্বানী একজন মসজিদের ইমাম হয়েও দলবল নিয়ে মাজার ভেঙেছেন এবং পা দিয়ে আঘাত করেছেন। এমন ইমামের পেছনে আমরা নামাজ পড়বো না। শনিবার ফজরের নামাজ পড়াতে আসলে তাকে তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করা হয়।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মাজার ভাংচুরের কথা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ এলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর