আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়ায় আল আরাফাত ব্রিকস ইটভাটা মালিককে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত আল আরাফাত ব্রিকস ইটভাটা মালিকের নাম আতাউর রহমান আততাফ (৫০)। গুরুতর আহত আততাফকে নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আতাউর রহমান আততাফ কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত আসাদ মোল্যার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাছলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হোসেন পিকুল ও কাঞ্চনপুর গ্রামের নাজির আহমেদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে রোববার বিকালে আফতাব বাড়ি থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে আফতাবের বাম হাত বাহু বরাবর দেহ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়। ভয়ানক জখম হয় তার দেহের বিভিন্ন স্থান। পরে স্থানীয়রা আফতাবকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকরা উচ্চতর চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আতাউর রহমানের ভাতিজা মিনারুল ইসলাম বলেন, আমার চাচা পারিবারিক কাজে বিকালে জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়িতে যায়। কাজ সেরে জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ি থেকে বের হলেই বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের নেতৃত্বে আমার চাচা আতাউর রহমান আততাফকে হত্যা করার জন্য রামদা, সামুরাই, চাইনিজ কুড়াল, গাছিদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রাখে। এ সময় তার আত্মচিৎকার শুনে আমরা উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
আতাউর রহমানের ভাইয়ের মেয়ে চম্পা বেগম বলেন, হত্যা করার জন্য ওরা আমার চাচাকে ঘিরে ধরে কুপিয়েছে। আমার চাচার দুই হাতই বিচ্ছিন্ন হবার মত, পেটের দুইপাশ দিয়েই ভুড়ি বের হয়ে গেছে।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেহেদী ভূঁইয়া জানান, সন্ধ্যায় আতাউর রহমান আততাফ নামে একজন রোগী আসে আমাদের এখানে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে এবং প্রচুর পরিমাণের রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীমউদ্দিন বলেন, গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর