বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যে দেশে ছাত্ররা বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে, সে দেশে সকল প্রকার বৈষম্য কবর রচনা হউক। যে দেশে মসজিদ পাহারা প্রয়োজন হয়না, সে দেশে মন্দিরও পাহারা দেয়াড় প্রয়োজন হবেনা।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই এ দেশেরই নাগরিক, যারা জন্মগ্রহণ করবে তারাও এই দেশের নাগরিক। কোন বিশেষ গোষ্টি বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলন করেনি। এই আন্দোলন করতে গিয়ে দেশের সোনার সন্তানেরা শহীদ হয়েছে। বুকের তাজা রক্তে ভরে উঠেছে এই দেশের রাজপথ। হাজারো প্রাণের বিনিময়ে এই সফলতা যদি কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাহলে এই দেশের ১৮ কোটি মানুষ তা সহ্য করবেনা। আপামর জনতার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে যদি কোন গোষ্টি সুফল নিতে চায় তা হবেনা। যদি কেউ এই আন্দোলনের সুফলকে ব্যবহার করতে চান তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ তা রুখে দেবে।
ক্ষমতার মালাই খাওয়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশর উদ্দেশ্য নয়। সমাজের একটা গুণগত পরিবর্তন আনা আমাদের উদ্দেশ্য। এমন একটি দেশ, এমন একটি জগৎ আমরা আমাদের এখানে চাই যেই দেশে জাতি দল নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। এদেশের নাগরিক হিসেবে সারাবিশ্বে^ মাতা উঁচু করে গর্বের সঙ্গে পরিচয় দিতে পারেন।
যারা শহীদ হয়েছে, তাদের বীরের মর্যাদা দেয়া হবে। যাতে শহীদদের পরিবার বলতে পারেন, আমাদেরও একজন শহীদ আছে। আমাদেরও একজন আবু সাইদ আছে, আমাদেরও একজন মুগ্ধ আছে, আমাদেরও একজন রুদ্রসেন আছে, আমাদেরও একজন রাহুল আছে।
আগে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মারামারি হানা হানি হতো। এখন সেই বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্ররা একত্রিত হয়ে নিজেরা যা পেরেছে দিয়ে বন্যার্তদের সহায়তা করেছে। পরে তারা রুমালি বিঝিয়ে সহযোগিতা নিয়ে বন্যার্তদের কাছে গেছে।
সোমাবার (২ সেপ্টেম্বর) বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র জনতার গণঅভ্যূথানে নিহত রুদ্রসেন, অন্যান্য শহীদ ও আহতদের জন্য সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান উপর্যুক্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,সব বাবা মা চায় তার সন্তানদের তাদের চেয়ে বড় হউক, ভাল থাকুক। আমরা এমন একটি সমাজে গড়ব। যে সমাজে আমরা সবাই মিলেন থাকব।
তিনি সকাল ১০ টা থেকে বক্তব্য শুরু করে ৮ মিনিট বক্তব্য দিয়ে মঞ্চে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এসময় তিনি বলেন, শহীদ পরিবার গুলো আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র গর্বে পাত্র। আমি এখন তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করব। আপনারা সেদিকে ক্যামেরা বা মোবাইল ঘুরাবেন না। এ সময় তিনি শহীদ সাতটি পরিবারকে ১৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।
এরআগে তিনি শাহাজালাল বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত রুদ্রসেনের দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুরের বাসভবনে যান। সেখানে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় অতিবাহিত করেন এবং সমবেদনা জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর