বন্যার বানের তীব্র তুষার প্রবাল পানিতে ভেঙে গেছে কালিদাস পাহালিয়া নদীর তীরবর্তী নেয়ামতপুর মনির উদ্দিন ভুঁইয়া বাড়ি প্রকাশ পুরাতন বাড়ির পাড়।এখানে প্রায় ৯ বছর পূর্বে পাথরের স্লোপ দেওয়ার পর জায়গাটি মজবুত ছিল এবং বসবাসরত সাধারণ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করত।কিন্তু বিগত ২১-২৫ শে আগস্ট প্রচণ্ড পানির প্রবাল স্রোতে পানিতেই পাথরের স্লোপ গুলো নির্বাসিত হয়ে যায়।
এতে প্রায় শতাধিক মানুষের বসবাস।নদী তীরবর্তী এই মানুষের বসত বাড়ি ও ঘর তলিয়ে যেতে পারে।বলিষ্ঠ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।এছাড়াও গতকাল নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিদর্শন করেছেন।
এ পাড়টি দ্রুত সংস্করণ পূর্বক বর্তমানে প্রাথমিক পাড়ের ভাঙন ঠেকানোর দাবি জানান এলাকাবাসী। এ নিয়ে তারা জেলা প্রশাসক মোসাম্মত শাহিনা আক্তার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম এবং ইউএনও নাজমুল হাসানের কাছে লিখিত স্মারক লিপি প্রদান করেন।স্মারক লিপিতে এলাকাবাসীর পক্ষে আবুল কালাম উল্লেখ করেন' আমার বাড়ী ৯ নং লেমুয়া ইউনিয়নের কালিদাস পাহাড়িয়া নদীর পাশঘেষে মনির উদ্দিন ভুঞা বাড়ী। সম্প্রতি প্রবল বন্যার কারণে নদী দিয়ে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে নদীর পাশ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর পাশঘেষে আমার বাড়ীসহ শত শত বাড়ী ঘর অবস্থিত।
এমতাবস্থায় মহোদয় এখনি যদি ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা না হয় তাহলে আমার এলাকার এবং আমার নিজের বাড়ীসহ এলাকার শতশত বাড়িঘর ও একটি মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বর্তমানে আমার বসতঘর হইতে ৭ ফুট দূরত্বে ভেঙ্গে নদীতে চলে যাচ্ছে। আমার ঘরও যে কোনো মুহূর্তে নদীতে চলে যাবে। এতে আমরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হইবো ও অনেক পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাবো"
এছাড়াও এলাকাবাসীর পক্ষে গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি বসির আহমেদ বাচ্চু মিয়া জানান' আমরা নেয়ামতপুরের প্রায় ৩ শতাধিক মানুষের বসবাস। আমাদের গ্রামের পাশের কালিদাস পাহালিয়া নদীর প্রবাহিত হয়ে মিলিত হয়েছে অন্যান্য নদীর সাথে। আমাদের এই গ্রামের সবচেয়ে পুরাতন বাড়ি হল মনির উদ্দিন ভুঁইয়া বাড়ি। যেখান থেকে আমাদের গ্রামের অনেকেরই সাবেক আবাসভূমি ছিল।পূর্বে ও আমাদের এই নদীর পাশের পাড় ভাঙ্গনের কবলে পড়ত।এতে আমাদের অনেকাংশ জায়গা নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে।আজ থেকে প্রায় ৮-৯ বছর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড হতে নদীর পাড়ে প্রায় কয়েক দশক মিটার জায়গার পাড়ে নদীর নিচের পাড় হতে পাথরের স্লোপ দেওয়া হয়।
এতে আমরা অনেকটাই স্বস্তি তে বসবাস করেছি আজ দীর্ঘদিন।কিন্তু গত কয়েকদিন পূর্বের ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানিতে পাড়ের স্লোপ ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। নদীতে পাথর সমূহ বিলীন হয়ে পড়ে।এতে আমাদের গ্রামের শতাধিক পরিবার বর্তমানে নিজেদের বসতঘর সহ ভূমি বিলীনের আশঙ্কায় রাত্রি যাপন করছে অত্যন্ত ভয়ে ও আতঙ্কে।আমাদের গ্রাম বাসীর পক্ষ হতে আমার অনুরোধ দ্রুত এই পাড় সংস্করণ করা হোক"
এ বিষয়ে ফেনী জেলা প্রশাসক শাহেনা আক্তার জানান" বন্যার কারণে অনেক স্থানে পাড় ভেঙেছে।আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিব।'
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হাসান জানান" আমি জায়গা সমূহ পরিদর্শন করেছি ইতিপূর্বে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে"
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর