ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের মহেন্দ্রগাঁও এলাকায় আবু খালেদ নামে এক কৃষকের ৬ বিঘা জমির আমন ধান ক্ষেতে আগাছানাশক প্রয়োগে করে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় সোমবার আবু খালেদ এর প্রতিবেশী বাবুল হোসেন ও গোলাম মোস্তাফার নামে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা যায়, মহেন্দ্রগাঁও এলাকার হাফিজ উদ্দীনের ছেলে আবু খালেদ পৈত্রিত সূত্রে ৬ বিঘা জমি পায়। সেই জমি আবাদ করে তার সংসার ভালোই চলছিল। জমি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আইনি জটিলতা থাকলেও চলতি বছরে সব জটিলতা কাটিয়ে ফসল আবাদে মনোনিবেশ করেন খালেদ। দোআঁশ মাটির কারণে সে জমিতে ফসল ভালো হওয়ায় তা হয়ে ওঠে কৃষক খালেদের আয়ের একটা বড় উৎস। কিন্তু সম্প্রতি রাতের আঁধারে তার সে জমির ফসল আগাছানাশক প্রয়োগে পুড়িয়ে দেয়ায় বাক শূন্য হয়ে পরেছেন খালেদ।
স্থানীয়রা জানায়, রাস্তা দিয়ে চলাচলের সুবাদে প্রতিদিন দেখা হয় ধান ক্ষেতটি। হঠাৎ গতকাল দেখি আগাছানাশক দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে পুরো জমির ধান। যে আগাছানাশক জমির আগাছা নষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়, সেই আগাছানাশক ব্যবহার করেই সমস্ত ধান ফসল নষ্ট করা হয়েছে। সব গাছ পুড়ে যাবার কারণে ধান হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। এতে শুধু আবু খালেদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ক্ষতি হয়েছে আমাদের অর্থনীতির।
তারা আরো জানায়, স্থানীয় একটি চক্র বিভিন্ন সময়ে এলাকার বিভিন্ন কৃষকদের প্রথমে মামলা এবং পরে এভাবে জমির ফসল নষ্ট করে হয়রানি করে। এগুলো তারা করে যেন ভুক্তভোগী কৃষকরা কম দামে সে জমি বিক্রি করে দেয়। আমরা অনেকেই আছি ভুক্তভোগীর তালিকায়। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে এ চক্রটিকে শাস্তির আওতায় আনা খুব জরুরি।
ভুক্তভোগী কৃষক খালেদ জানান, আমার এ ফসল গুলি নিয়েই সামনের পরিকল্পনা ছিল। কারণ এত বড় জমির ফসল আবাদ করতে বীজ, সার ও পানি সেচে ইতোমধ্যেই আমার বেশ করজা হয়ে গিয়েছে। এখন বুঝতে পারছি না কি করবো।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) আরিফুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী কৃষক প্রথমে মৌখিক ভাবে ও পরে লিখিত ভাবে জানিয়েছে। বিষয়টি জানার পরে ফৌজদারি অপরাধ মনে হওয়ায় হরিপুর থানায় তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর