
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সড়কে খানাখন্দে যানচলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পরিবহণ শ্রমিকরা। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। দৈনন্দিন ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে জলাবদ্ধতাসহ কর্দমাক্ত হওয়ায় পায়ে হেঁটে চলাচলও কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের। সড়কের অনেক জায়গায় হাঁটু সমান গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে স্বাভাবিক যানচলাচলে বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সাগরদিঘী বাজারের চৌরাস্তা মোড় হতে সখিপুর রোডের বাসস্ট্যান্ড, গারোবাজার রোডের বাইপাস হয়ে রূপালী সিনেমা মোড় থেকে সখিপুর রোড, পুরাতন বাজার হয়ে কাঁচা বাজার, মাছ বাজার ও বাঘাড়া রোডের কিছু অংশের সড়কে দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দভরা। এতে করে পাকা সড়কের ইট সরে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। লাল নিশানা দিয়ে তা চিহ্নিত করে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এসব সড়কে সামান্য বৃষ্টিতে জমে থাকে পানি। বেশি বৃষ্টি হলে রাস্তাগুলো তলিয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় সড়কে সবরকমের যান চলাচল।
পণ্য পরিবহণ তো দূরের কথা একপাশ থেকে গাড়ী আসলে আরেকপাশে যানজটে আটকে থাকে মালবাহী গাড়িগুলো । মানুষ চলাচলেরই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কগুলো। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগী এবং স্কুলগামী শিশুদের। বাজারের প্রধান সড়ক হওয়ায় সড়কের দুইপাশে রয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড। এর ফলে যাত্রীদের যাতায়াতে লাগামহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বলছে, বরাদ্দ সংকটে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না এসব ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক।
উপজেলার সাগরদিঘী–সখিপুর সড়ক দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। কয়েক মাস ধরেই সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ বছরের শুরুর দিকে ১ কিলোমিটারজুড়ে মেরামত হলেও বাকি অংশের হাল খুবই খারাপ। এতে করে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাগরদিঘী বণিক বহুমুখী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের পর বছর ভাঙা রাস্তায় হাঁটি; কিন্তু দেখার কেউ নেই। এমপি-চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়, আমাদের ভাঙা রাস্তার পরিবর্তন হয় না। এমন অনেক রাস্তা আছে মেরামত তো দূরের কথা এক কোদাল মাটিও ফেলা হয়নি।’
জোরদিঘী এলাকার অটোরিকশা চালক আ. মালেক বলেন, ‘সাগরদিঘী- সখিপুরের রাস্তা দিয়া অটো নিয়া যাইতে গিয়া প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। অনেকের হাত-পাও ভেঙে হাসপাতালে যাওয়া লাগছে। আবার অনেকের অটোরিকশা ভেঙে গেছে।’
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান বলেন, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হতে পারে। দ্রুতই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়ক মেরামত করা হবে। অন্যথায় যা বরাদ্দ পাওয়া গেছে, সেই টাকা দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়ক মেরামতের কাজ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর