প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আউয়ালের হাতে তুলে দিলেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে গণমাধ্যমে উপস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ করেন।
এই সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও মো. আহসান হাবিব খান সঙ্গে ছিলেন। তবে অন্য নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আইন অনুযায়ী, সিইসি ও ইসি সচিব নিয়ে নির্বাচন কমিশনার গঠিত হয়। কমিশনের সদস্য থাকে পাঁচজন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ২০২২ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রথমবারের মতো এই কমিশন আইনের মাধ্যমে নিয়োগ পান। সরকার পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রের অন্যান্য কর্তৃপক্ষের মতো ইসিও পদত্যাগ করলো।
সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ ভেঙ্গে গেলে নব্বই দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে। এক্ষেত্রে ভোটের আয়োজন না করলে ইসিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। যেহেতু বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে এবং নির্বাচনের কোনো রূপরেখা নেই, সংবিধানও কার্যত অঘোষিতভাবে স্থগিত হয়ে পড়েছে তাই কমিশন পদত্যাগ করলো বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর