নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় আফসানা খানম (২০) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। স্বামীর সংসারে গিয়ে দুই সপ্তাহেই তার জীবনের ইতি টানা পড়ে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। আফসানা উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের দেবী গ্রামের মো.বাহারুল এর স্ত্রী ও শুলটিয়া গ্রামের কুবাদ মোল্যার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ আগে উপজেলার নোয়গ্রাম ইউনিয়নের দেবী গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে মো. বাহারুল ও শুলটিয়া গ্রামের কুবাদ মোল্যার মেয়ে আফসানা খানমের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে আফসানা খানম নামে ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে তা উদ্ধার করে শশুর বাড়ি ও স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
আফসানার পরিবারের অভিযোগ, আফসানার সাথে তার স্বামী ও শাশুড়ী যৌতুকের জন্য খারাপ ব্যবহার ও চাপ সৃষ্টি করতো। যৌতুকের টাকার জন্য আফসানাকে তারা মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে এমনটাই দাবী তার পরিবারের। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
অভিযুক্ত শাশুড়ীর দাবী যে বুধবাত দিবাগত রাতে কখন গলায় দড়ি দিয়ে সে মরে গেছে তা জানিনা। এছাড়া যৌতুক চাওয়া ও খারাপ ব্যবহারের বিষয়টি অস্বিকার করেন।
আফসানার স্বামী মো.বাহারুল পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
লোহাগড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজিত সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর