
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ১০টি গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছে। বন্ধ হয়েছে শেরপুর ও নন্দীগ্রামে দুটি উপজেলার মানুষের চলাচল। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, ১৯২৪ সালের একটি ম্যাপে রাস্তাটি দেখা যায়। সেখানে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১৫ ফিট রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে শেরপুর ও নন্দীগ্রামের তেতুলিয়া, বংধর, জামুর, খুরতা, তুলাশন, বড়পুকিরিয়া, ধুনধর, কদমপুরি, বীরপলী, শরিষাবাদের লোকজন নিয়মিত চলাফেরা করে এবং কৃষি আবাদ নিয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা।
হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর রাস্তারি ওই গ্রামের হাফিজার হাজি, শাহাদত মাস্টার, মোজাম ও আশরাফ আলী খুটি ও নেট দিয়ে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে করেই আলহাজ আলী ও হাফিজারসহ গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত প্রায় ২ বছর হয়েছে রাস্তার পাশে আলহাজ আলী রাস্তা দখল করে ইট দিয়ে বাড়ির করে। তার বাড়ির মধ্যে প্রায় ৯ফিট রাস্তা নিয়েছে। বাকি ৬ ফিটের মধ্যে দিয়ে তালগাছ রোপণ করা আছে। সে রাস্তা দখল করাকে কেন্দ্র করেই বন্ধ হয়ে যায় রাস্তাটি।
বীরপলী থেকে ভ্যানে করে কাপড় বিক্রেতা তোজাম উদ্দিন এই রাস্তা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে করেছি। তিনি আরোও জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি আজ বন্ধ এখন প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা বেশি চলাচল করতে হবে।
আলহাজ আলী জানান, আমি বাড়ি করেছি আমার জায়গায়। তারপর মাপযোগ করে বাড়ি ছাড়াও কিছু অংশ থাকায় সেটাও ইট দিয়ে স্থাপনা করে বাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত করে নিয়েছি।
অভিযুক্ত হাফিজার হাজি, শাহাদত মাস্টার, মোজাম জানান, আমাদের পুকুরে পার বেঁধে দিয়ে আমরা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে রাস্তা দিয়েছিলাম। আলহাজ আলী রাস্তা দখল করে বাড়ি করায় গ্রামবাসি নিয়ে বৈঠক বসে বসা হয়। ভূমি অফিস থেকে লোকজন এসে মাপযোগ করেছে তার বাড়ির মধ্যে ৯ ফিট রাস্তা গেছে কিছুটা ছেড়ে দিতে বলা হলেও সে ছাড়ছে না। তাই আমাদের সীমানা বরাবর আমরা বেড়া দিয়েছি। রাস্তাটি প্রায় সম্পূর্ণ আমার জায়গায়। আলহাজ আলী সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে বাড়ি করেছে। সরকারি জায়গা থাকতে আমি কি করে আমার নিজের জায়গা ছাড়বো।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ১৯২৪ সালের একটি ম্যাপে রাস্তাটি দেখা যায়। তবে কতটুকু তা নির্ধারণ করা যাচ্ছেনা। তবে অধিকাংশ গ্রামবাসী বলেন রাস্তা বেশিরভাগ বাড়ির মধ্যে গেছে। তবে মাপযোগ করতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী জানান, সেখানে মাপযোগ করে দেখা গেছে রাস্তার কিছু অংশ বাড়ির মধ্যে ঢুকে গেছে। স্থাপনা সরানোর জন্য তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের বাড়ি বা স্থাপনা হওয়া তারা জানিয়েছেন গ্রামবাসীকে নিয়ে তারা আপোষের মধ্যে দিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে। তাই একটু সময় লাগবে। আমি করি আগামী ৭ দিনের মধ্যে সমাধান করা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর