জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের নয় ছাত্রলীগ কর্মীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্রীহলের সামনে নাম, ব্যাচ ও ছবিসহ ব্যানার ঝুলিয়ে তাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
ব্যানারে লেখা হয়, জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে থাকা ও গণহত্যাকে সমর্থকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে স্থায়ীভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- ১১ তম ব্যাচের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইভা রহমান, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ১৩ ব্যাচের স্বর্ণা পাটোয়ারী, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ১৩ ব্যাচের মৈত্রী বাড়ৈ, বাংলা বিভাগের ১৪ ব্যাচের আফিয়া আনঞ্জুম সুপ্তি, গণিত বিভাগের ১৩ ব্যাচের নিপুণ ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৪ ব্যাচের মুনিয়া আক্তার যুথি, দর্শন বিভাগের ১৪ ব্যাচের রিশাত আরা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের সৃজা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারহানা ঐশী।
অবাঞ্ছিত ঘোষিত বাংলা বিভাগের ১৪ তম আর্বতনের শিক্ষার্থী আফিয়া আনঞ্জুম সুপ্তি বলেন, আমি হলে আসতেছিনা ৪-৫ মাস হচ্ছে। আমার গ্রাজুয়েশন (স্নাতক) শেষ। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্স্টাস করবো না। বাহির থেকে করবো। আমার হলের সিট অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে এটা মেনে নেওয়া যায়, কারণ আমার গ্রাজুয়েশন শেষ। কিন্তু ১৭ তম আর্বতনের আরো দুইটা মেয়ের সিট অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে। এই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার একমাত্র অধিকার আছে হল প্রভোস্ট ও ভিসি স্যারের। এই অবাঞ্ছিত ঘোষণা কোনদিন বৈধ হবে না। এটাই সবচেয়ে বড় বৈষম্য।
এ বিষয়ে জানতে অবাঞ্ছিত আরও দুই ছাত্রলীগ কর্মী স্বর্ণা পাটোয়ারী ও ইভা সরকারকে ফোন করা হলে ফোন কেটে দেন।
ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বর্না রিয়া বলেন, হলের প্রভোস্ট না থাকার কারণে আমরা অফিসিয়াল কোন আবেদন করতে পারিনি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই নয় জন ছাত্রলীগ কর্মীকে হল থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে নতুন প্রভোস্ট আসলে ছাত্রীহল থেকে বহিস্কারের জন্য আবেদন করবো।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর