২০২৪ এর মে মাসে লেমুয়ার ইমার ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং মানুষের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিডি২৪লাইভে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সমগ্র লেমুয়া অঞ্চল জুড়ে সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা নিউজটিকে সমর্থন জানায় এবং উক্ত নিউজের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তৎকালীন এই নিউজ টক অব দ্যা ট্রপিকে পরিণত হয়ে আলোচনায় থাকে টানা ১ সপ্তাহ।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা সরব অবস্থান গড়ে তুলে।
সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘লেমুয়ার মানুষের পরিবহনের ক্ষেত্রে কি পরিমাণ বৈষম্য এবং হয়রানির শিকার হতে হয়। বেশি ভাড়া দিয়ে গেলেও তারা তাদের সঠিক সেবা পায় না। ইমার ড্রাইভারদের এমন আচরণ ও সেবা নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।’
এ বিষয়ে তৎকালীন সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি বিষয়টি নিরূপণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু তাদের ভাঁড়া কমানো অথবা ৬ জন বসানোর কার্যক্রম এর বিষয়ে কোনো ধরনের ভ্রুক্ষেপও করেননি। ইমাচালকরা এ যেন এক যাত্রীদের সাথে চরম আকারের বৈষম্য সৃষ্টি করে। কিন্তু অন্য ধরনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে মানুষ এই পরিবহনটি ছাড়তে পারেনি। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুনভাবে সবকিছুতে সংস্কার দাবি করছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। সাধারণ ছাত্রদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে তাদের রক্তের অর্জিত এ স্বাধীনতার বিনিময়ে সংস্করণ শুরু হলেও লেমুয়া ইমা সমূহে এর বিন্দুমাত্র পরিমাণ কোন ছোঁয়া লাগে নি।
সম্প্রতি ফেনী হাজারী কলেজের অধ্যায়নত কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের দাবিসমূহ নিয়ে পুনরায় প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন। তারা বলেন পূর্বে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করার পরেও ভাড়া অথবা সিটে একজন করে দুই জনযাত্রা কম নেওয়া এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি।
এছাড়াও ড্রাইভারের সাথে সর্বোচ্চ একজন বসার সুযোগ থাকলেও সেখানে দুজনকে বসানো হয়। যাকে বসানো হয় তাকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকতে হয়।২০ টাকার ভাড়া দিলেও সে যাতায়াতের সঠিক সুবিধা পায় না কারণ সে ইঞ্জিন উপরে বসে এবং সেখানে গিয়ারের বক্সটি বারবার ডানে বামে করতে হয়।
এ বিষয়ে লেমুয়া সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস কৌরাইশী বলেন, এমন উদ্যেগ অবশ্যই জনসেবামূলক। জনস্বার্থে এ ধরনের কাজ অবশ্যই আলোচনা করে সমাধান দরকার। শীঘ্রই ড্রাইভারদের সাথে সাংবাদিক এবং ছাত্রদেরকে ডেকে এ বিষয়ে তিনি একটি যৌক্তিক সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
ফেনী সদর উপজেলা ইউএনও নাজমুল হাসান জানান, বিষয়টি আমাকে ছাত্ররা জানালে, আমি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করব।
এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ফজলুল হক জানান, আমরা বন্যার কারণে বিষয়টি নিয়ে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করতে পারছি না।আমাদের দাবি হল,পিছনে ২ জন এবং সামনে ১ জন কমাতে হবে।তাহলে তাদের ভাড়া কমবে ৬০ টাকা। এতে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। আর যদি না হয় তাহলে জনপ্রতি ভাড়া ৫ টাকা করে কমে ১৫ টাকা করতে হবে।
এক্ষেত্রে তাদের ৭০ টাকা কম পড়বে। সুতরাং এটার সহজ হবে ২০ টাকা রেখে ৩ জন কমানো।এক্ষেত্রে ডিজেলের দাম কমেছে।সামনে আরও কমবে। সুতরাং ভাড়া বৃদ্ধির চিন্তা করলে এর ফলাফল ভাল হবে না'।
এছাড়াও আবরান, ফরহাদ, নাহিদ, শফিউল, সাফিন সহ বিভিন্ন কলেজের অধ্যয়নরত ছাত্ররা এসময় সিটে কম যাত্রী পরিবহনের দাবি জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর