
শেরপুর নালিতাবাড়ীতে কেন্দ্রীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদকের বাসায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে ওই পরিবারটি। বর্তমানে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নালিতাবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি গোপাল চন্দ্র সরকারের পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের তারাগঞ্জ দক্ষিণ বাজার এলাকার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় স্থানীয় ৫০/৬০ জনের একদল সন্ত্রাসী লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের যৌথ পরিবার গোপাল চন্দ্র সরকারের বাসায় হামলা চালায়। এসময় হামলা ও লুটপাট করে ৭টি বসতঘরে রাখা স্বর্ণ অলংকার, নগদ অর্থ নিয়ে যায়। এমনকি মালামাল নিয়ে যাওয়ার পর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। স্থানীয়রা আগুন নিভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরো জানা গেছে, পৌরশহরে তাদের বিজয় রাইস মিলে লুটপাট ও ডেইরি ফার্ম থেকে গরু নিয়ে গেছে। এমনকি রেনু ট্রাভেলস ড্রিমল্যান্ড গাড়িতে আগুন ধরে দেওয়ায় গাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় প্রাণভয়ে ওই পরিবারটি অসহায় হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে গোপাল চন্দ্র সরকারের ভাতিজা শেরপুর জজ কোর্টের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের স্পেশাল পিপি দীপঙ্কর চন্দ্র সরকার বলেন, আমাদের বাসা বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করায় আমরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। হঠাৎ করে দুর্বৃত্তরা আমাদের উপর এমন হামলা করবে তা চিন্তাও করতে পারি নাই।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর