
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় মারুফা বেগম (২৮) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী হামলার শিকার হয়েছেন। রোববার (৯ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে ত্রিশাল পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী রয়েল মিয়া ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে অভিযোগ কারী রয়েলের চাচাতো ভাই আব্দুল জলিল ওরফে (কালা জলিল) বাবু মিয়া, তন্ময়, তোহা মিয়া,রতন মিয়া ও পারভেসসহ আরও ১২/১৩ জন পূর্ব শত্রুতা জের ধরে রয়েলকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হোন মারুফা আক্তার ।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে য়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মারুফা বেগমের স্বামী রয়েল বলেন, আমার বড় ভায়রা ভাইকে কয়েকদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালাতে থাকে। পরে আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এসে সেও আহত হয়। বিবাদীগণ পূর্বে হতে শত্রুতা চলে আসতেছে। তাদের সাথে আরো অজ্ঞাত কিছু যুবক ছিল। আমি বাধা দেওয়ায় আমার বাড়িতে এসে তারা খোঁজ করেন। আমাকে না পেয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করেন। আমার ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, ও সন্তানের ওপর হামলা চালায়।
আহত মারুফা বেগম বলেন, কিশোর গ্যাং প্রধান বাবু আমার বড় বোন জামাইকে প্রাননাশের হুমকি দেয়।
পরে তারা বাড়িতে এসে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তাকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলা করে। আমাকে লাথি দিয়েছে, মারধর করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল জলিল বলেন, আমি কোনোভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমার সামনে কয়েকজন যুবক হামলা করেছে। তাদের আমি চিনি না। অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা হয়, সেটা অবশ্যই ন্যক্কারজনক ও বুজতে পারিনি । প্রকৃত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বিডি২৪লাইভকে বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
সর্বশেষ খবর