তেজগাঁওয়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার করায় প্রায় ৭ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল। এর আগে বেলা ১২টা থেকে ৬ দফা দাবিতে সাত রাস্তার মোড়ে অবরোধ করেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিসহ রাজধানী বিভিন্ন সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে 'কারিগরি ছাত্র আন্দোলন'র ব্যানারে তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত সব ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের কারিগরি অধিদপ্তর এবং সব প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত স্থানান্তর করতে হবে। পাশাপাশি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি এবং উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবেন না এমন ছয় দফা দাবি তাদের।
আন্দোলনকরা এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। আমাদের যখন ল্যাব থাকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের যিনি আছেন উনি এ সম্পর্কে অবগতই নন। উনি সালফিউরিক অ্যাসিড কখনও দেখেনই নাই, তিনি কিভাবে আমাকে বিক্রিয়া শেখাবেন?’
আরেক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমাদের তিন মাসে পাঠ্যক্রম শেষ করে। আমরা তিন মাসে কিভাবে ৮ টা–৯টা বই শেষ করব? আমাদের দাবিগুলো যদি আগেই মেনে নেওয়া হতো তাহলে আমরা আজ রাজপথে আসতামই না। আমরা এসেছি কারণ আমাদের দাবিগুলো মানা হয়না। আমরা সমন্বয়কদের কাছেও গিয়েছিলাম, ওনারা আমাদেরকে ভ্যালু করেন নাই।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে স্থাবির হয়ে পড়ে রাজধানীর যান চলাচল। দেখা দেয় তীব্র যানজট। তেজগাঁওয়ের পাশাপাশি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, মগবাজার, ইস্কাটন, হাতিরঝিলের আশপাশেও তৈরি হয় তীব্র যানজট। এতে পথে আটকে থাকাদের মধ্যে তৈরি হয় ক্ষোভ।
একজন বাস চালক বলেন, ‘আমরা দাবির কাছে আটকে গেছি। এই দাবি থেকে আমাদের কে যে মুক্ত করবে? একজনের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছি এখন আবার দাবির কাছে আটকে গিয়েছি। পুরো রাস্তাটাই জ্যাম। গাড়ি সব বন্ধ হয়ে আছে। সবচেয়ে বেশি অসহায় অবস্থায় আছেন নারীরা।’
আরেক জন বলেন, ‘না খেয়ে বাচ্চাগুলো গাড়ির মধ্যে বসে আছে। এটাই হলো দেশের নিয়ম। হাজার হাজার মানুষ আটকে আছে, এটা দেখার কেউ নেই। তাদের দাবিটাই আগে।’
সড়কে যানজট তৈরি হলেও তা নিরসনে কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর