
শেরপুরের শ্রীবরদীতে মসজিদের চাঁদা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় আহত স্কুলশিক্ষক শরিফুল ইসলাম ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের মালাকোচা গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মৃত নুরুল হকের ছেলে ও মালাকোচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
এর আগে ওই হামলার ঘটনায় তার ছোট ভাই শ্রমিক দল নেতা লিটন মিয়া নিহত হয়েছিলেন। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার মালাকোচা এলাকায় প্রায় চার হাজার এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিচার দাবি করেছেন।
নিহতের মেয়ে শশী বলেন, আমার বাবাকে তারা নির্দয়ভাবে মেরেছে। আমি এখন বাবা হারা হয়ে গেলাম। আমি আমার বাবার মৃত্যুর বিচার চাই। এর আগেও ওই লোকগুলো আরও ৪টি মার্ডার করেছে তারা। কিন্তু তাদের কোন বিচার হয় না। আমি বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দেওয়া হয়।
জানা যায়, স্থানীয় একটি মসজিদের তোলা (চাঁদা) নিয়ে গত ২৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা গ্রামে প্রতিপক্ষ আলতাফ হোসেন শিরা ও তার লোকজনের হামলায় লিটন মিয়া, তার দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মিয়ার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় নিহত লিটনের বড় ভাই তোতা মিয়া বাদী হয়ে থানায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে, শরিফুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার ভোর ৭টার দিকে আহত শিক্ষক শরিফুল ইসলাম মারা যান।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর